khaleda_zia_bnp_

দৈনিকবার্তা-নীলফামারী,২৩অক্টোবর: বিদেশে বর্তমান সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্ন তুলে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, এই সরকারকে কেউ স্বীকৃতি দেয় নাই৷ তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরে স্বীকৃতি আদায় করছে৷ সরকার ছবি তুলে তুলে বিদেশের স্বীকৃতি আদায়ে ব্যস্ত৷ হাসিনা সরকারকে বিদায় করে ঘরে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন ২০ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে নীলফামারী জেলা স্কুল মাঠে আয়োজিত জনসভায় এ ঘোষণা দেন তিনি৷ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ জনসভার আয়োজন করেছে ২০ দলীয় জোট৷ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিসুল আরেফিন চৌধুরী৷এর আগে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় নীলফামরীর জেলা স্কুল মাঠে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত জনসভা শুরু হয়৷

বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়া সার্কিট হাউজ থেকে নীলফামারীর উদ্দেশে রওনা হন৷ দুপুর আড়াইটায় নীলফামারী সার্কিট হাউজে পৌঁছান তিনি৷ বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির আসন গ্রহন করেন৷ জনসভা শেষে নীলফামারী সার্কিট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি৷বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, জনগণ ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে আছে, আগামী দিনে তারা তা প্রমাণ করবে৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট দেয় নাই৷ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে৷ কিন্তু চুরি করে ক্ষমতায় বসে থাকা যায় না৷খালেদা বলেন. দেশে বর্তমানে গণতান্ত্রিক সরকার নেই৷ তারা অবৈধ৷ এরা নির্বাচিত সরকার নয়৷ নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ পরিচালনা করার অধিকার তাদের নেই৷ অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে৷

তিনি বলেন, ধর্মহীন দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ৷ তারা সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম বাদ দিয়ে দিয়েছে৷ বাংলাদেশে বাস করে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললে মানুষ তা সহ্য করবে না৷ এসময় জেলে আটক জামায়াত নেতাদের উন্নত চিকিত্‍সার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়ার দাবিও জানান তিনি৷ বেগম জিয়া বলেন, এখন কিছু বলবো না৷ ৩০ তারিখে নাটোরে জনসভা আছে৷ আরও কিছুদিন জনগণের সঙ্গে দেখা করবো৷ আগামীতে সময়মতো আন্দোলনে ডাক দেব৷ তখন আপনারা আবার জেগে উঠবেন৷ সেই আন্দোলনে এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করে আমরা ঘরে ফিরবো৷তিনি আরও বলেন, এই দেশে বাকশাল নয়, একদলীয় শাষন নয় বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো৷ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন হবে, জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে৷ আজকে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ৷ যারা দেশের জন্য, জনগনের জন্য কাজ করে তারা কখনও পরাজিত হবে না৷ জয় আমাদের সুনিশ্চিত৷ জয় আমাদের হবেই হবে৷আমরা অনেক অন্যায় অন্যায় অত্যাচার সহ্য করেছি৷ আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি, আরও রক্ত দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি৷

বর্তমান নির্বাচন কমিশন অথর্ব মন্তব্য করে বিএনপি খালেদা জিয়া বলেছেন, এ কমিশন বাতিল করে এমন কমিশন গঠন করতে হবে, যারা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে৷ তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করবে৷ তিনি বলেন, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করতে হয়৷ সোজা কথায় নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে আঙুল বাঁকা করতে হবে৷
ি
বএনপির শাসনামলে দেশের ও পোশাক খাতে উন্নতি হয়েছে দাবি করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পোশাক ও পাটশিল্প ধ্বংস করেছে৷ রানা প্লাজার ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখান দেয়নি তারা৷সরকার ব্যস্ত লুটপাট নিয়ে৷ কোথা থেকে কমিশন পাওয়া যায়, তাই নিয়েই ব্যস্ত সরকার৷ সরকারি ব্যাংকগুলো লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে৷

র্যাব বাতিলের দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, ছিনতাই দমনে বিএনপি জোট র্যাব গঠন করেছিল৷ কিন্তু এখন তারা টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করে৷ বিদেশীরাও র্যা ব বাতিলের কথা বলেছে৷ বিদেশে বর্তমান সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্ন তুলে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, এই সরকারকে কেউ স্বীকৃতি দেয় নাই৷ তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরে স্বীকৃতি আদায় করছে৷ সরকার ছবি তুলে তুলে বিদেশের স্বীকৃতি আদায়ে ব্যস্ত৷বিদেশে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া৷ তিনি বলেন, সরকার দ্বারে দ্বারে ঘুরে স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে৷ সরকার ভাবছে, বিদেশে ছবি তুললেই স্বীকৃতি আদায় হয়ে যাবে৷

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, জনগণ ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে আছে৷ তারা যে আমাদের সঙ্গে আছে, তা আগামীতে তারা প্রমাণ করবে৷ সরকার শুধু মিথ্যা কথা বলে, মিথ্যার ওপর ভর করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না৷নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া৷

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আপনারা জনগণের সেবক৷ কিন্তু সরকারের নির্দেশে জনগণের ওপর গুলি চালান৷ তাই পুলিশ ভাইদের বলবো জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আপনারা গুলি চালাবেন না৷তিনি বলেন, র্যাবকে কোনো রাজনৈতিক ইসু্যতে ব্যবহারের জন্য গঠন করা হয়নি৷ কিন্তু সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে র্যাবকে ব্যবহার করছে৷ এছাড়া প্রতিনিয়ত র্যাব টাকার বিনিময়ে মানুষকে গুম ও খুন করছে৷

তিনি বলেন.গণতান্ত্রিক সরকার নেই বর্তমানে৷ তারা অবৈধ৷ এরা নির্বাচিত সরকার নয়৷ নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ পরিচালনা করার অধিকার তাদের নেই৷ অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে৷

অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষসরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া৷ তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না যার উজ্জল প্রমাণ উপজেলা নির্বাচন৷তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে৷ জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসেন আমরা কিছু বলবো না৷ মিথ্যা দিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না৷তিনি আরো বলেন, টেলিভিশনের টক শো-গুলোতে সরকারের সমালোচলা করা হয় বলে নীতিমালা করে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে৷

খালেদা বলেন,২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর উপনির্বাচনগুলোতে যেভাবে ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে না দেয়া, যুলুম নির্যাতন করা হয়েছে- তখন কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নাই৷ এমনকি এই অবৈধ সরকারের আমলে উপজেলা নির্বাচনে ভোটের বাঙ্ ছিনতাই করে, আগের দিন রাত তিনটার সময় ব্যালট বাঙ্ ভরে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে৷ আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না৷৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ভালো কথায় কাজ না হলে আন্দোলন করে সরকারকে বিদায় করে অবাধ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হবে৷ সকলেই ভোটের অধিকার ফিরে পাবে৷

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে এলেও তাতে সরকার গা করছে না৷ নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতেও বলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা৷সরকারের সাড়া না পেয়ে খালেদা জিয়া আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন েেজলায় সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছেন৷ এই গণসংযোগের পর আন্দোলনের কর্মসূচি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷

বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে খালেদা বলেন,এই সরকার জনগণের জন্য কোনও কাজ করছে না৷সরকার অনেক ওয়াদা করেছিল৷ ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে, তারা কি সে ওয়াদা পালন করেছে, করেনি৷ আমাদের সময় সারের যে মূল্য ছিল এখন তার চেয়ে তিন গুণ বাড়িয়েছে৷ কৃষকের উত্‍পাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তারা যে টাকা দিয়ে উত্‍পাদন করে সে খরচই ওঠে না৷নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও জনগণের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে বলে দাবি করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা৷

আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা তথ্যের ওপর টিকে আছে দাবি করে তিনি বলেন, তারা যে পরিমাণ বিদু্যত্‍ উত্‍পাদনের কথা বলে, তা মিথ্যা বলে৷ আপনারা (সমাবেশ) কি বিদু্যত্‍ পান?পান না, গলার জোরটা একটু বাড়ান৷ এ সরকার মিথ্যার উপরে টিকে আছে৷ বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না৷সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, জনপ্রিয়তা যাচাই করলে দেখা যাবে দেশের জনগণ তাদের আর চায় না৷

তিনি বলেন, নির্বাচন দিয়ে দেখেন আপনাদের কী অবস্থা হয়৷ এ সরকার ঠিকে আছে মিথ্যার ওপর৷ মিথ্যা দিয়ে বেশিদিন ঠিকে থাকা যায় না৷আপনারা যদি মনে করেন অনেক উন্নয়ন করেছেন, মানুষ আপনাদের পছন্দ করে, তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন৷ প্রমাণ হয়ে যাবে কার জনপ্রিয়তা বেশি বলে জানান খালেদা জিয়া৷ পোশাক শিল্প নিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের পোশাক শিল্পকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে এ সরকার, লুটপাট করা এ সরকারের ধর্ম৷কুইক রেন্টালের নামে দেশে লুটপাট চালিয়ে দেশের টাকা সুইস ব্যাংকে টাকা রাখছে৷

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার দেশকে দেউলিয়া বানাতে চায়৷এই সরকার রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে৷ শেয়ারবাজার ও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে৷জনসভায় আসা তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা কি ভোট দিতে চাও না? যদি চাও তাহলে শুনে রাখ যখন অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ভালো পথে কাজ হয় না তখন আন্দোলন করতে হয়৷ বর্তমানে আওয়ামী লীগ লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত৷ তাই তারা জনগণের দিকে কোনো নজর দেয় না৷

র্যাব নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ১৯৯৬ সালে র্যা ব গঠন করা হয়েছিল, কারণ আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করায় তা দমনে র্যাব গঠন করা হয়েছিল৷কিন্তু এ বর্তমানে এ সরকারকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে৷ দেশে গুম খুন করাচ্ছে র্যাব দিয়ে৷ নারায়ণগঞ্জের ঘটনা এ সময় উল্লেখ করেন তিনি৷ নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যা বের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে দাবি করে তিনি আবারো র্যা ব বিলুপ্ত করার দাবি জানান৷পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা জনগণের সেবক, জনগণের অধিকার রক্ষা করা আপনাদের কাজ৷ আপনারা তাদের ওপর লাঠি, গুলি চালাবেন না৷ আপনারা জনগণের সেবক হয়ে কাজ করুন৷

কোনো রাষ্ট্রই এ সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি- দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন,ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা এ সরকারকে কোনো রাষ্ট্রই স্বীকৃতি দেয়নি৷ বিদেশে গিয়ে শুধু ফটোসেশন করলেই স্বীকৃতি পাওয়া যায় না৷ এই সরকারকে কেউ স্বীকৃতি দেবে না৷ঢাকা থেকে বুধবার রওনা হয়ে বগুড়ায় রাত কাটিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টায় জনসভাস্থল নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বড় মাঠ) পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন৷ তিনি মঞ্চে উঠলে নেতা-কর্মীরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাদের নেত্রীকে স্বাগত জানায়৷

সর্বশেষ ২০০৮ সালে ১৮ডিসেম্বর নবম সংসদের নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি চেয়ারপারসন নীলফামারীর শহীদ মিনারের পথসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন৷ তারপর এটাই জেলাটিতে তার প্রথম সফর৷বিএনপির জেলা আহ্বায়ক আনিছুল আরেফিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের এই সভায় নীলফামারীর বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতা-কর্মীরা যোগ দেন৷জনসভায় আগত অনেকের হাতে ধানের শীষ প্রতীক, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বড় বড় প্রতিকৃতি ছিল৷ সমাবেশমুখী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিলে ছিল বাদক দলও৷নীলফামারী প্রবেশ পথ কার্নিয়াল খাতে মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে জনসভাস্থল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের পথে পথে ছিল ডিজিটাল ব্যানার- ফেস্টুন৷

নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করে স্থানীয় ২০ দলীয় জোট৷৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর রাজধানীর বাইরে এটা খালেদা জিয়ার পঞ্চম জনসভা৷ সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর জামালপুরের জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি৷ নীলফামারীতে খালেদা জিয়ার জনসভাকে কেন্দ্র করে উত্‍সবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে৷ শহর জুড়ে টানানো হয়েছে নানা রঙের পোস্টার৷ বিভিন্ন সড়কে তৈরি করা হয় তোরণ৷ জনসভাকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন ২০ দলের নেতাকর্মীরা৷ আগে সকালে বগুড়ায় দেশ ও দলের স্বার্থে আন্দোলনের ডাক দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন৷ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, আগামীতে যে কোনো আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশপ্রহণের প্রস্তুতি নিন৷তিনি আরো বলেন, বগুড়ার মানুষের ভালোবাসায়, আথিতীয়তায় আমি মুগ্ধ৷ বগুড়া বিএনপির শক্ত ঘাঁটি, এখানে এলে আমার মনে হয় নিজের বাড়িতেই এসেছি৷

বিএনপি’র চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিলফামারী যাওয়ার সময় বগুড়া সার্কিট হাউসে সংৰিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আমি বগুড়ায় এসেছি, বগুড়ায় আসলে অনেক আদর আপায়ন পাই৷বগুড়া আমাদের নিজের বাড়ি মনে হয়৷ তাই এই এলাকায় আসলে বগুড়ায় অবস্থান করি৷ বগুড়ার বিএনপি অত্যানত্ম শক্তিশালী ঘাঁটিঐক্যবদ্ধ থেকে এই সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে৷ দেশের কি অবস্থা আপনারাতো জানেন৷ তাই যখনই দেশের কল্যানে জনগনের কল্যানে আমরা আহ্বান করবো তখনই আমাদের ডাকে সারা দিয়ে কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করবেন৷ এ সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম প্রমুখ৷ বক্তব্য শেষে তিনি ১১টা ৩৫ মিনিটে সড়ক পথে নীলফামারীর উদ্দ্যোর্শে যাত্রা করেন৷ এর আগে তিনি জিসাস কতর্ৃক বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি ভিপি সাইফূল কে রাজনীতিতে অবদান রাখায় স্বর্ণ পদক প্রদান করেন বেগম খালেদা জিয়া৷