কলাবাগানে জোড়া খুন আলামত পরীক্ষায় সিআইডিকে অনুমতি

রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয় হত্যার পৃথক দুটি মামলায় ১০ রকম আলামত পরীক্ষা করার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অনুমতি দিয়েছেন আদালত।ঢাকার মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন গত ২৮ এপ্রিল এই আদেশ দিলেও এ তথ্যের সত্যতা সোমবার নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ শহিদ।পৃথক দুটি মামলার এই আবেদনে দেখা গেছে, এই হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় নয়টি আলামত এবং খুনের মামলার একটি আলামত পরীক্ষা করানোর জন্য আদালত সিআইডিকে অনুমতি দিয়েছেন।

হত্যা মামলার আলামতটি হলো দুটি খাকি রঙের কার্টনের বাক্স। এর ভেতরে পোঁটলা করা দুটি কার্টন, দুটি নারকেলের চারটি খণ্ড এবং কার্টন দুটির পার্সেলসামগ্রী। এই আবেদনটি করেন কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক কে এম আশরাফ উদ্দিন। এতে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে এই আলামত জব্দ করা হয়েছে। আসামিরা কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেলসামগ্রী হিসেবে সাজিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন। আর হত্যাকাণ্ডের পর ওই বাসার ফটকের সামনে রেখে চলে যান। তদন্তের স্বার্থে ও আসামিদের শনাক্ত করতে আসামিদের রেখে যাওয়া কোনো ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আনুষঙ্গিক কোনো আলামত আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই সিআইডির বিশেষজ্ঞ দ্বারা তা পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।একই প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে অস্ত্র মামলার আলামত পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি, গামছা, দুটি লুঙ্গি, একটি ঘিয়ে রঙের কাপড়, একটি অফিশিয়াল ব্যাগ ও এক টুকরা সাদা কাগজ পরীক্ষা করতে সিআইডিকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এই আবেদনটি করেন কলাবাগান থানার এসআই আনসার আলী।

২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে বাসায় ঢুকে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাধা দেওয়ায় ওই বাড়ির প্রহরীকেও কুপিয়েছে তারা। পালানোর সময় এলাকার লোকজন পিছু নিলে তারা গুলি ছোড়ে। আটকের চেষ্টা করায় এক পুলিশ সদস্যকেও কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা দুটি করা হয়।