%e0%a6%ac%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8-%e0%a6%ac

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অবিযোগে বদরুল আলমকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক কবির হোসেন।

বদরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে অনিয়মিত ছাত্র হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সম্পাদক ছিলেন।গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়া সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজাকে কুপিয়ে জখম করার পরদিন বদরুলকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল কমিটি।ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক রাশেদ তালুকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটির প্রতিবেদন রোববার সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করার পর বদরুলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান অধ্যাপক কবির।

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মুনিরজ্ঞাতি গ্রামের বদরুল ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার হয়ে এখন সিলেটের কারাগারে রয়েছেন। তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।হামলায় আহত খাদিজা বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।