14409464700

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০১৫: জনগণের ছিনিয়ে নেওয়া ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির তামাশার নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। দেশবিরোধী নানা চুক্তি ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে। এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।তিনি বলেন, দেশে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে চলছে গণহত্যা, গুম, গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব।বিএনপি চেয়ারপারসনের অভিযোগ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করার জন্য নির্লজ্জ দলীয়করণের চূড়ান্ত রূপ দিতে বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কছে ন্যস্ত করার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।তিনি বলেন, জনগণের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ভোটাধিকার এবং মৌলিক মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এখন জরুরি।

খালেদা জিয়া বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত, প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশেও দেশের গণতন্ত্র যতবার বিপন্ন হয়েছে বা গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত এসেছে, বিএনপি সবসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরশাসন-গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির চ্যালেঞ্জকে দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করেছে এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে।তিনি বলেন, জনগণের অধিকার আদায়, তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।জনগণের অধিকার আদায় এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা পুনর্প্রতিষ্ঠায় বিএনপি অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত, প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশেও দেশের গণতন্ত্র যতবার বিপন্ন হয়েছে বা গণতন্ত্রের পড্রতি আঘাত এসেছে-বিএনপি সবসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরশাসন-গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির চ্যালেঞ্জকে দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করেছে এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে।দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপনের পাঠানো বাণীতে বিএনপি প্রধান সর্বস্ত রের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে জনগণের ক্ষমতায়নে ভূমিকা পালন করার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিএনপি এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সর্বদা জনগণের রাজনৈতিক দল হিসেবে সব জাতীয়-রাজনৈতিক সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।আগামী দিনগুলোতেও এমন বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার পপ্র্যয় ব্যক্ত করে বিএনপি প্রধান অভিযোগ করেন, আজ দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে। ৫ জানুয়ারির ‘তামাশার নির্বাচনের’ পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। দেশবিরোধী নানা চুক্তি ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বর্তমান সরকার জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে। দেশে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে চলছে গণহত্যা, গুম, গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করার জন্য নির্লজ্জ দলীয়করণের চূড়ান্ত রূপ দিতে বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কছে ন্যস্ত করার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইন পাশ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী করার জন্যই। বিএনপি প্রধান বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে জাতীয় সম্প্রচার নীতি প্রনয়ণ করা হয়েছে। এটি মূলতঃ এ সরকারের মানুষের বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতাকেই অপহরণ করা। জনগণের অধিকার আদায়, তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা পুনর্প্রতিষ্ঠায় বিএনপি অঙ্গীকারাবদ্ধ।