DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 17

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ এপ্রিল: বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষ,পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং বিএনপিসহ কয়েকটি দলের প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তিন সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ।তিন সিটিতেই (ঢাকা দক্ষিণ,উত্তর এবং চট্টগ্রাম) বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা অনিয়ম, কারচুপি এবং জালভোটের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছেন। ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেশ কিছু ভোট কেন্দ্রে কাউন্সিল প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মঙ্গলবার পাল্টা-পাল্টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় এর পর পরই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। গণনা শেষে ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবে। সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে।ঢাকা উত্তরের ফলাফল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এবং দক্ষিণের ফলাফল মহানগর নাট্যমঞ্চে ঘোষণা করা হবে।অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটির ফলাফল দেওয়া নগরীরর জিমনেসিয়ামে ঘোষণা করা হবে। বেলা সোয়া ১১টায় নগরীর দেওয়ানহাট উন্নয়ন আন্দোলনের নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।এসময় তিনি কেন্দ্র দখল, কারচুপি, এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও নানা অনিয়মের অভিযোগ আনেন। এছাড়া রাজনীতি থেকে অবসরেরও ঘোষণা দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনজুর আলম।অন্যদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি সমর্থিত উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। বেলা সোয়া ১২টার দিকে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ দুই মেয়র প্রার্থী এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ভোট বর্জনের এ ঘোষণা দেন।বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোট দেওয়া, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ব্যালটবাক্স দখল, ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রেস ব্রিফিংয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, এটা কোনো নির্বাচন হয় নাই। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। ভোটারবিহীন এ নির্বাচনকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এ নির্বাচন আমরা বর্জন করি। এতে গণতন্ত্রের প্রহসন করা হয়েছে।এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, নির্বাচন বয়কট করবেন, প্রত্যাখ্যান করবেন এটা খালেদা জিয়ার পূর্বপরিকল্পিত। একটি ইস্যু তৈরি করার জন্যই তিনি নির্বাচন বর্জন করিয়েছেন। বেলা সোয়া ১টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে একে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন হানিফ। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেখাতে পারেনি। কোনো একটি অনিয়মেরও তথ্য দিতে পারেনি বিএনপি। বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং বিএনপিসহ কয়েকটি দলের প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তিন সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ।তিন সিটিতেই (ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর এবং চট্টগ্রাম) বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা অনিয়ম, কারচুপি এবং জালভোটের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছেন।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 23

মঙ্গলবার (সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর পর পরই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। গণনা শেষে ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবে। সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে।কেন্দ্র দখল ও কারচুপি, সরকার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ।মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটির এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর পরপরই কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোট গণনা।নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভোট শেষ হয়েছে। তবে বিকাল ৪টার মধ্যে যারা কেন্দ্রে এসেছেন, তাদের ভোট নেওয়া হবে।এখন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনা চলবে। কেন্দ্রভিত্তিক ফল পাওয়ার পর প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠাবেন। পরে তা সমন্বয় করে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করবেন।নানা অভিযোগের মধ্যেও সার্বিকভাবে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে’ দাবি করে কমিশন সচিব বলেন, কমিশনে তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। যদি কিছ পাওয়া যায় তা কমিশন বিবেচনা করবেন।তবে এ নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি নির্বাচন কমিশন।সিরাজুল ইসলাম জানান, গোলযোগের কারণে ঢাকা দক্ষিণে বংশালের সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, জুরাইন আশরাফ মাস্টার আদর্শ বিদ্যালয় এবং খিলগাঁওয়ের একটি মিলিয়ে মোট তিনটি কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে ইসি বাধ্য হয়েছে।সিটি করপোরেশনের এই নির্বাচন আইন অনুযায়ী দলীয় ভিত্তিতে না হলেও প্রার্থী ঠিক করাসহ সব কিছু কার্যত রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রণেই হয়েছে।সকালে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্র ভোটের জন্য খুলে দেওয়ার পর সেখানে প্রথমেই ভোট দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোট দেওয়ার পর বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিতলে ভাল, না জিতলে আন্দোলন। আর তাদের আন্দোলন মানে তো মানুষ খুন করা।এরপর প্রথম ঘণ্টা মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই সব চলে। নির্বাচন কর্মকর্তারাও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের আশা প্রকাশ করেন।কিন্তু সকাল ৯টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ জানাতে থাকেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 02

ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের চার ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আওয়ালকে পাশে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এটা কোনো নির্বাচন হয় নাই। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। ভোটবিহীন এই নির্বাচনকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। … এই নির্বাচন আমরা বর্জন করি। এতে গণতন্ত্রের প্রহসন করা হয়েছে।আফরোজা ও তাবিথ অভিযোগ করেন, তাদের এজেন্টদের হয় কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, নয়তো বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে সরকারসমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম এর ঘণ্টাখানেক আগেই ভোট বর্জনের ঘোষণ দেন। নেতারা অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে এলেও ঢাকা বা চট্টগ্রামে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। ভোটের সময় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদেরও কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি।বংশালের সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষ্মীবাজারে কবি নজরুল কলেজ, হাজারীবাগের জরিনা শিকদার স্কুল, উত্তর কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয়সহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কয়েকটি কেন্দ্রে যেসব সংঘর্ষ হয়েছে, তার মূলে ছিল কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী ও ‘বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা। এসব সংঘর্ষের জেরেই তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। পুরান ঢাকার পগজ স্কুল কেন্দ্র, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, বুলবুল ললিত কলা একাডেমি, মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র, ঢাকা কলেজ, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, ধলপুর সিটি করপোরেশন স্টাফ কোয়ার্টার উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বিঘিœত হয় বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর।পুরান ঢাকার নারিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষ্মীবাজারের কবি নজরুল কলেজ, চট্টগ্রামের বিএসআইআর ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, অলি আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেয়াবাদ সিটি করপোরেশন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও দক্ষিণ পাহাড়তলীর ফতেয়াবাদ কলেজ কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীদের ব্যালটে সিল মারার দৃশ্য দেখা গেছে।আর অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ শুধু বলেন, আপনারা দেখান, আপনারা দেখান।নির্বাচনের আগের দিন সিইসি অভিযোগ করেছিলেন, কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। তবে ভোটের দুপুরে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান।নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, আমাদের কাছে সংবাদ রয়েছে- দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হচ্ছে।ঢাকায় এ নির্বাচন হল মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার অন্তত আট বছর পর। সর্বশেষ অবিভক্ত ঢাকা সিটিতে ভোট হয়েছিল ২০০২ সালের এপ্রিলে। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগের পর এটাই প্রথম নির্বাচন।তবে চট্টগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই নির্ধারিত সময়ে এ ভোট হল। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে এটি পঞ্চম নির্বাচন। এই সিটিতে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১০ সালের ১৭ জুন।৬০ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৬ জন ভোটারের এই তিন সিটি করপোরেশনে ২৭০১টি ভোটকেন্দ্রের ১৫ হাজার ৫৪৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হয়। তিন সিটিতে মেয়র পদে ৪৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে ৮৯১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২৪৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 11010290_964140476929790_7129810080962810220_n

ধোলাইপার উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভোটকেন্দ্র জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ ওঠায়, সেখানেও ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত রাখা হয়।উত্তরা হাইস্কুলের একটি ভোট কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট নেই, এবং গণমাধ্যম প্রবেশে নিষেধ থাকায় ভেতরে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বাহাউদ্দিন বাবুল।এছাড়াও সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় ও মগবাজার ইস্পাহানি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে কে বা কারা এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জানিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরই এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।ভোট শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই ভোটাররা ওই কেন্দ্রের বাইরে লাইনে অপেক্ষায় ছিলেন। শুরুতে পরিস্থিতি ভালই থাকলেও হঠাৎ সেখানে গণ্ডগোল শুরু হয়।ঢাকা উত্তরের ৯, ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পপ্রর্থী আসমত আরা জাহান চৌধুরী নীলার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি পিঞ্জর মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।মঙ্গলবার (বিকেল ৪টার আগে দারুস সালাম এলাকার আরসি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আহত আসমত জাহান চৌধুরী নীলা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 24

তার ছেলে মাহমুদুল হাসান পিয়াস অভিযোগ করে বলেন, জালভোটের প্রতিবাদ জানালে লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী মায়ের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা কিল-ঘুষি দিয়ে মাকে আহত করে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওতাধীন বাসাবো উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুইপক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অনলাইন পোর্টাল রাইজিংবিডির নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াসিন রাব্বী (২৩)।মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তার ডান পায়ে গুলি লেগেছে। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।তিনি জানান, সবুজবাগের বাসাবো উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কেন্দ্রের ভেতরে গোলাগুলি চলছিল। এমন সময় তিনি কেন্দ্রের ভেতরে ছিলেন। সেখানে সিঁড়ির কাছে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।এদিকে, ভোট চলাকালীন সময়ে কবি নজরুল কলেজের সামনে ইংরেজি দৈনিক নিউএইজের ফটো সাংবাদিক ইন্দ্রোজিৎ কুমরা ঘোষ ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে মির্জা আব্বাসের সমর্থকরা বিক্ষোভ করার সময় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 07

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য জানান, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন মির্জা আব্বাসের সমর্থকরা। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েকজনকে আটক করলেও পরে দুজনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের লাঠিচার্জে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন মারাত্মক আহত হন। দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (ডিএসসিসি) ৩৭নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাহাবউদ্দিন জনির সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন দলটির নেতা ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম। এ সময় তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে লিটন (৪০) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 14

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার পর পুরনো ঢাকার ৩৭নং ওয়ার্ডের বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহত লিটনকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে নিকটস্থ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন।জানা যায়, আহত লিটন একজন ফল ব্যবসায়ী। তার বাসা ১৮/এ নবাববাড়ি ইসলামপুর এলাকায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হাজী সেলিম আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুর রহমান নিয়াজীর সমর্থকদের নিয়ে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ভোটকেন্দ্রে যান। এসময় কাউন্সিলর পদে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সাহাবউদ্দিন জনির সমর্থকরা হাজী সেলিমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে।হাজী সেলিমকে হামলার কবল থেকে রক্ষা করতে এ সময় তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী গুলি চালালে লিটনের পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ডজনখানেক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) পারভেজ বাংলানিউজকে জানান, ভোটকেন্দ্রে সামনে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লক্ষ্মীবাজারে কাউন্সিলর পদের প্রার্থী দুই আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 16

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে কবি নজরুল কলেজ কেন্দ্রের বাইরে প্রায় আধা ঘণ্টার সংঘর্ষের পর ফাঁকা গুলি ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।ঘুড়ি মার্কার প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইয়ার মোহাম্মদ ইয়ারু এবং আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়ে না পওয়া টিফিন ক্যারিয়ার মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়ায় কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ নির্বাচনে ইয়ারুকে সমর্থন দেওয়া হয়।মোহাম্মদ সেলিমের সমর্থকদের অভিযোগ, সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পরপরই ওই কেন্দ্রে জাল ভোটের খবর পাওয়া যায়।এরপর বেলা পৌনে ১২টার দিকে মোহাম্মদ সেলিমের সমর্থকদের ওই কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগের সমর্থকরা। এ সময় স্থানীয় লোকজন কবি নজরুলের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের সূত্রাপুর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নুরুল আমিন কে বলেন, দুই রাউন্ড গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। ভেতরের পরিস্থিতি কী, তা আমরা জানতে পারিনি।তবে, এর পরপরই কবি নজরুলের কলেজের ভেতরে বিকট শব্দে দুটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় ।তার ধারণা, কলেজের সীমানা প্রাচীরের বাইরে থেকে হাতবোমাগুলো ভেতরে ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল। বিস্ফোরণের পরপরই কলেজের ভেতর থেকে হুড়মুড় করে ভোটাররা বেরিয়ে আসেন।আনেয়ার হোসেন নামের এক ভোটার বলেন, আমি ভোট দিতে এসেছিলাম, কিন্তু পারিনি। এটা কোনো রাজনীতি না। উনারা নিজেরা সিল মেরে সব নিচ্ছে।এ কলেজের তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৪৯ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কাজী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফোন করে বললেন, পরিস্থিতি যেহেতু খারাপ, স্বাভাবিক না হওয়ার পর্যন্ত বন্ধ থাক। বাইরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবার ভোট নিচ্ছি। কিন্তু ভোটার এখন কম।”রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের বান্ডেল নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হয়েও ঢাকা দক্ষিণের একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায় ।পুরান ঢাকার নারিন্দা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রিজাইডিং অফিসার ওবায়দুল ইসলামকে ব্যালট পেপারে সিল মারতে দেখা যায় ।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 12

তারা জানান, ঢাকা দক্ষিণের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ৬৪২ নম্বর ওই ভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে সকালে ভোটারদের ফিরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের।ভোটাররা কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য তাদের বলেন, ভেতরে সকলে নাস্তা করছে। এখন না পরে আসেন।এ সময় কোনো প্রতিবাদ না করেই ভোটারদের ফিরে যেতে দেখা যায়। তবে ভেতরে গিয়ে তারা কাউকে নাস্তা খেতে দেখেননি। ওই ভোটকেন্দ্রের দোতলায় দুটি ভোটকক্ষের মধ্যে একটি বন্ধ ছিল। এক নম্বর বুথে যেতে চাইলে তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন কার্ডবিহীন দুই ব্যক্তি।“তাদের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখা যায়, প্রিজাইডিং অফিসার ওবায়দুল ইসলাম ও পোলিং অফিসার, ইলিশ মাছ প্রতীকের পোলিং এজেন্ট এবং দুজন কার্ডহীন ব্যক্তি মিলে ব্যালট পেপারে সিল মারছেন। তারা সবাই ইলিশের সিল দিচ্ছিলেন।এ সময় অন্য কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে সেখানে দেখা যায়নি। ইলিশ প্রতীক নিয়ে ঢাকা দক্ষিণে নির্বাচনে লড়ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন।

সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে এরপর সবাই যার যার আসনে বসে পড়েন। প্রিজাইডিং অফিসার বুথ থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে যান।এ সময় কার্ডবিহীন ব্যক্তিদের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের কোনো পরিচয় নাই।প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ‘নির্বাচন কমিশন থেকে লোক আসার’ অজুহাত দেখিয়ে তিনি নিজের কক্ষে ঢুকে পড়েন। প্রায় পাঁচ মিনিট পর তিনি নিজের কক্ষে ডেকে পাঠান।ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ওই বুথে আমি একজন মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট পেয়েছি। আর কাউকে পাই নাই।ওই কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময়ও ভিতরে নাস্তা হচ্ছে বলে ভোটারদের ঢুকতে পুলিশকে বাধা দিতে দেখা যায় বলে দুই প্রতিবেদক জানান।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 15

এই ঘটনার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অপর এক কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটগ্রহণ স্থগিত করে পুনঃভোটের আবেদন করা হয়।ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শেখ মো. আরিফুল ইসলাম অবৈধভাবে সিল মারার এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, সকাল থেকে ছিলাম। মাঝে একটু ঝামেলা হইছিল। এখন ঠিক হয়ে গেছে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি পেয়েছি যে, কিছু ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। আমি আমার ঊর্ধ্বতনদের বিষয়টি জানিয়েছি।ওই কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।আফরোজা বলেন, ব্যাপক কারচুপি হচ্ছে। আমি বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়েছি। একই অবস্থা দেখছি। সরকারি দলের লোকজন কেন্দ্রের দখল নিয়ে তাদের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছে।সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে দেখিয়ে আফরোজা বলেন, এই দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন, তারা নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন নাই।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 21

প্রত্যেকটা কেন্দ্রেই তারা এ রকম করছে।এই কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী শম্পা বসুও। পাশের লুৎফা একাডেমি থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট বন্ধের আবেদনকারী কাউন্সিলর প্রার্থী আবু জুবায়ের মো. মিরাতিল্লাহ বলেন, “আমি নিজের ভোটও দিতে পারি নাই।তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. ওয়ালী আল কাদির বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে জিম্মি করে সরকার দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীরা তাদের প্রতীকে সিল মারতে থাকে।ওই কাউন্সিলর প্রার্থী একটি ভিডিওচিত্র সরবরাহ করেছেন, যাতে একটি বান্ডেলের সব ব্যালট পেপারে একই মার্কায় (ঘুড়ি) সিল মারা দেখা গেছে।এ ঘটনায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ১৯৮২ ভোট কেন্দ্রের ১০টি কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় ১টিতে ভোট প্রায় বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বংশালের সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২টি কেন্দ্রে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আবারো ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটার পর বেশ কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিলো।

DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 19

মঙ্গলবার সকাল আটটায় ভোট নেওয়া শুরু হয়, চলে টানা বিকেল চারটা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্র দখল করে সরকার-সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিতে দেখা গেছে। কিন্তু বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরও ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একটি কেন্দ্রদখল করে ব্যালটে সিল মারতে দেখা গেছে।উত্তরার নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বিকেল চারটা ২৫ মিনিট পর্যন্ত বিভিন্ন বুথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ব্যালটে সিল মারতে দেখা গেছেএ সময় ভোটকেন্দ্রের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক ক্যামেরায় এ দৃশ্য ধারণ করতে গেলে তাঁকে জোরপূর্বক বুথ থেকে ে রে করে দেন সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা।বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষে কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বুথে সরকার দলীয় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ব্যালটের বই নিয়ে একের পর এক পাতায় এক নাগাড়ে সিল মেরে তা বাক্সে ভরছিলেন। আরেক গ্রুপ ব্যালট বইয়ের মুড়ির অংশে টিপসই দিচ্ছিল। নেতা গোছের কয়েকজন পাইকারি হারে ব্যালটে সিল মারা ঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা তদারকি করছিলেন।এমনটা চলে বিকেল চারটা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। এরপর প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে সিলমারা ব্যালট বাক্সগুলো নেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা কিছু বলতে রাজি হননি।ভোট শেষ হওয়ার আগে থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান নেন।উল্লেখ্য, নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নারী-পুরুষের জন্য মোট চারটি ভোট কেন্দ্র। এসব ভোটকেন্দ্রে মোট বুথ সংখ্যা ২৮। দিনভর এ কেন্দ্রে সরকার-দল সমর্থিত প্রার্থীরা ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ছিল না।