DaroaniTextile-Mills-Front

দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ২২অক্টোবর: নীলফামারীর দারোয়ানী টেঙ্টাইল মিল্স অব্যাহতভাবে লোকসান গুনে আগামি নভেম্বরে আবারও উত্‍পাদনে যাচ্ছে৷ এতে করে নীলফামারীর জেলার মানুষ এবার আশার আলো দেখছে৷ দেশে ও বিদেশে এই মিলের সুতার মান গুণগতভাবে উন্নতমানের হওয়ায় ব্যাপক চাহিদার কারণে অর্থনীতিতে বিরাট সাফল্য আসবে বলে মনে করছেন সচেতনমহল৷ মিলটি আবারও উত্‍পাদনে যাওয়ার কথা শুনে মিলের আশেপাশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে৷

জানা যায়, ১৯৮৫ সালে ১০৮ একর ৫২ শতক জমির উপর দারোয়ানী টেঙ্টাইল মিলটি গড়ে উঠে৷ এতে ৫ হাজার শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে ১৯৮৮-৮৯ সালে রেকর্ড সংখ্যক সুতা উত্‍পাদন করে ওই দুই বছরে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় করে৷ এখানকার উত্‍পাদিত সুতা দেশ ও বিদেশে সুতা সরবরাহ করে সুনামও অর্জন করেছিল৷ পরবর্তীতে রাজনৈতিক চাপে সিবিএ সংগঠন তৈরি করে মিলটির বড় ধরণের ক্ষতি হয়৷ ২০১১ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সুতা কলটি চললেও ওই বছরের ১ আগষ্ট লোকসানের অজুহাতে কর্তৃপক্ষ মিলটি লে-অফ ঘোষণা করে৷ নীলফামারীর কৃতি সন্তান, দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপির আন্তরিক সহযোগিতায় আবারও উত্‍পাদনে যাচ্ছে দারোয়ানী টেঙ্টাইল মিলটি৷

সরজমিনে দেখা যায়, ইতোমধ্যে মিলের পুরানো যন্ত্রপাতি,ভেঙ্গে পড়া অবকাঠামো ঘষামাজা ও মেরামতের কাজ পুরোদমে চলছে৷ এতে বিটিএমসি’র ব্যয় হবে প্রায় ১৫ লাখ টাকা৷ মিলটির প্রতিষ্ঠার শুরুতেই মোট ৫৮টি মেশিন দিয়ে সুতা উত্‍পাদনের কাজ শুরু হয়৷ এর মধ্যে প্রত্যেকটি মেশিনে টাকু রয়েছে ৪৩২টি করে৷

নীলফামারী দারোয়ানী টেঙ্টাইল মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, প্রথমে আমরা ৩০টি মেশিন দিয়ে সুতা উত্‍পাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ আর ওই ৩০টি মেশিনের ১২ হাজার ৯৬০টি টাকু দিয়ে প্রতিদিন সুতা তৈরি হবে প্রায় ২১৮ বেল অর্থত্‍ আধুনিক পরিমাপে ৪০০ পাউন্ড৷ পাশাপাশি ওই টাকুগুলো চালু করতে শ্রমিক নিয়োগ করা হবে প্রায় ৩৫০ জন৷ তিনি আরও জানান, বর্তমানে কুমিল্লা চাঁদপুরের সিভ জিনিং নামে একটি ফ্যাক্টরির সাথে দুই বছর মেয়াদে বিটিএমসি’র চুক্তি হয়েছে৷ আশা করছি সফলতা আসলে এই চুক্তি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি হতেই থাকবে৷ মিলটি দীর্ঘদিন অচল পড়ে থাকায় অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে৷ বিদু্যত্‍ সংযোগসহ নতুন করে নানা ধরণের কাজ গুছিয়ে নিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি৷ এদিকে মিলটির চালুর খবরে এলাকায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে৷ দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে৷ চাকরী প্রার্থী ও কৌতুহলী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে মিল এলাকা৷