Shochib-1424783328

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ মার্চ: সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা আচরণবিধি অমান্য করলে নির্বাচন কমিশন কোনো ছাড় দেবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন তিনি।সিরাজুল ইসলাম বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন, রোববার ঢাকা উত্তর সিটির সম্ভাব্য এক মেয়র প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সুতরাং আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কেউ ছাড় পাবে না। অবশ্যই তাদের বিধি অনুসারে সাজা দেয়া হবে।

তিনি জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে পারেন তার জন্য তিন সিটিতে ৬টি করে মোট ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। বিধি লঙ্ঘন করলেই তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।সচিব আরও জানান, নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণের দিন থেকে পূর্ববর্তী ২১ দিন আগে অর্থাৎ ৭ এপ্রিলের পূর্বে প্রচারণা চালানো যাবে না। ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপর প্রার্থীরা চূড়ান্ত প্রচারণা চালাবেন। তবে বিনাপ্রতীকে প্রার্থীরা তিনদিন সীমিত আকারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।

সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১০ এর অনুচ্ছেদ ৪-এ নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না।বিধি অনুসারে, ভোটগ্রহণ দিন থেকে পূর্ববর্তী ২১ দিন প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে সেখানে প্রার্থীর ছবি, দলীয় প্রতীক ও দলের নাম ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।সচিব বলেন, প্রার্থী যে কেউই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে বিধিমালায়। রোববারও ভ্রাম্যমাণ আদালত এক প্রার্থীকে ঘোড়ার গাড়ি চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় ২০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। সুতরাং বিধি ভঙ্গ করে কেউ পার পাবেন না। তাই বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থীদের আচরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে আছেন। তারা আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের বিষয়টি দেখছেন। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে থেকে ৬জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি সিটিতে নিয়োগ করা হবে। তারা ১৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।সিরাজুল ইসলাম টওার্থীদের উদ্দেশে বলেন, অনেকদিন পর নির্বাচন হচ্ছে। বিশেষ করে ডিসিসি নির্বাচন দীর্ঘদিন পর হচ্ছে। এখানে যাতে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে, একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন, সেজন্য প্রার্থীরা আচরণ বিধি মেনে চলবেন।তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ মার্চ, যাচাই-বাছাই ১ ও ২ এপ্রিল এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ১০ এপ্রিল, ভোটগ্রহণ ২৮ এপ্রিল।আগামী ২৮ এপ্রিল ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে মোট ৬০ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও ১৭৭৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।