Tamanna

দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ০২এপ্রিল: ছোটবেলা থেকেই তামান্নার স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। সেই ইচ্ছে থেকেই তিনি এসেছিলেন বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমিতে। একদিন বড় পাইলট হবেন এই ছিল স্বপ্ন। কিন্তু আজ সেই স্বপ্নের ইতি ঘটলো।

বুধবার দুপুরে রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত কো-পাইলট তামান্না রহমান হৃদি সম্পর্কে এভাবেই বলছিলেন ফ্লাইং একাডেমি অ্যান্ড জেনারেল এভিয়েশন লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

নিহত তামান্না ফেরদৌস হৃদি টাঙ্গাইলের মীর্জাপুর উপজেলার সিভিল সার্জন ডা. আনিসুর রহমানের মেয়ে। সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তামান্নার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক জানান, দুই বছর আগে তামান্না বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমিতে ভর্তি হন। কর্মাশিয়াল পাইলট সার্টিফিকেট পেতে হলে ১৫০ ঘণ্টা উড়াল প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এছাড়া প্রাইভেট পাইলট সার্টিফিকেট পেতে হলে প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০ ঘণ্টা উড়াল প্রশিক্ষণ নিতে হয়।

Tamanna-pic02

তামান্না ১৭ ঘণ্টা উড়াল প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। আর মাত্র ৩৩ ঘণ্টা উড়াল প্রশিক্ষণ নিলেই তিনি প্রাইভেট পাইলট সার্টিফিকেট পেতেন বলেও জানান এনামুল হক।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তামান্না ফেরদৌস নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন প্রশিক্ষক লে. কর্নেল (অব.) শাহেদ কামাল।

গুরুতর অবস্থায় শাহেদ কামালকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।