cccআজ ৩১ মে মঙ্গলবার বিকাল ০৩.০০ টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগে আয়োজিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সিসি ক্যামেরা ভিত্তিক নিরাপত্তা কার্যক্রম উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান একেএম শহীদুল হক বলেন -“ সিসিটিভি আর বিলাসিতা নয়, নিরাপত্তার প্রতীক জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল এই যুগে সিসি ক্যামেরার বিকল্প নেই”।

পুলিশ প্রধান আরও বলেন -“সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অপরাধীকে সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব। এ সময় তিনি গুলশানে ইতালি নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যাকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করেন। ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি জায়গায় হাই রেজুলেশন নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপনে নগরবাসীকে অনুরোধ করেন। জনগণের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ পুলিশ জীবন বাজি রেখে সর্বক্ষণ দায়িত্ব পালন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন- পুলিশের পাশাপাশি জনসাধারণকেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবদান রাখতে হবে।বিদেশী ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন -“বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট করার লক্ষ্যে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র আমরা নস্যাৎ করেছি”। এসময় তিনি আসন্ন রমজান ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে জিনিস পত্রের দাম না বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ করেন এবং খাবারে ভেজাল না দেওয়ার জন্য আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন-“এখন বাংলাদেশ পুলিশ গর্ব করে বলতে পারে বিশ্বের যে কোন দেশের পুলিশের চেয়ে আমাদের পুলিশিং কার্যক্রম অনেক ভালো। বাংলাদেশ পুলিশের তদন্তে ৬২ জন জঙ্গীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে তার মধ্যে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। লালবাগ বিভাগে ৩৩৪০টি সিসি ক্যামেরা বসানো জন্য লালবাগবাসীকে অভিনন্দন জানান এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আরো সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য অনুরোধ জানান আইজিপি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন “ঢাকা মহানগরীর প্রত্যক ইঞ্চি জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি নগরবাসীকে পুলিশের সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে’। সিসি ক্যামেরাকে নিরাপত্তার প্রধান অনুষঙ্গ উল্লেখ করে তিনি রাজধানীর সকল মার্কেটে ও শপিং মলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দোকান মালিক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন- বাস, লঞ্চ ও রেলওয়ে টার্মিনালে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ছিনতাই রোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে তিনি বলেন- অপরিচিত কোন ব্যক্তি মোবাইলে হুমকি বা চাঁদা দাবি করলে সাথে-সাথে পুলিশকে জানাতে হবে। মোবাইলে হুমকি ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে ডিএমপি তৎপর রয়েছে।

থানাকে জনগণের আস্থার স্থান উল্লেখ করে কমিশনার বলেন- সকল ধরনের সেবা নিশ্চিত করবে থানা পুলিশ। কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সবাইকে তিনি সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলেন। কোন ব্যক্তিকে পেন্ডিং মামলা দিয়ে হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ এই মূল মন্ত্র পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে’। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন“ বাংলাদেশ পুলিশের অনেক সীমাবদ্ধতা পৃথিবীর যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পুলিশের সংখ্যা খুব কম, তবে সেবার মান যে কোন দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এসময় তিনি সবাইকে বাংলাদেশ পুলিশকে সহায়তার মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহবান করেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধানের হাতে ইসলামপুর ব্যবসায়ী সমিতি একটি নতুন পুলিশ ভ্যানের চাবি হস্তান্তর করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।