image_124547_0

দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ০৩ জুলাই ২০১৫: রাজশাহী চারঘাট উপজেলার সারদা মডেল স্কুল এখন যৌন ব্যবসা কেন্দ্রস্থলে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশ তথা এশিয়া মহাদেশে সারদা এলাকার সুনাম বেশ রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা ডিগ্রি কলেজ সহ বিভিন্ন সনামধন্য প্রতিষ্ঠান। দিন দুপুরে সভ্যতার আচল বিছানো থাকলেও এই পবিত্র মাহে রমজান মাস কে উপেক্ষা করে রাতের বেলায় বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে চলে যৌন ব্যবসা।অভিযোগ রয়েছে, স্কুলের গার্ড মোঃ ছালাম (৫৫), ও সারদা মডেল স্কুলের পরিচালক এবং ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম দুজনেই যৌন ব্যবসার সহযোগী।বাংলায় প্রবাদ আছে, ‘চোরের ১০দিন গৃস্থের ১দিন’। সেই ঘটনাই ঘটলো গত মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে। ঐদিন সেহেরী শেষে লোকজন নামাজের উদ্দ্যেশে মসজিদে যাবার সময় যৌন কর্মী ও গার্ড ছালাম কে প্রকাশ্যে দেখতে পায়। ঠিক একই ভাবে শুক্রবার ভোর বেলায় যৌন ব্যবসার আলামত পাওয়া যায় স্কুলে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বদনামের কথা চিন্তা করে তারা স্কুলের পরিচালক সাইফুলকে নালিশ দিলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যায়। তিনি দাবি করেন এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

এই বিষয়ে সারদা ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ইউনুস আলী তালুকদার ও সারদা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান গার্ড ছালাম তার নিজ বাড়িতে এই অপকর্ম গুলি করতো তা আমরা জানি, কিন্তু মডেল স্কুলের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না, এখন জানলাম যখন এর ব্যবস্থা আমরা করবো। শুধু মাহে রমজান বলে কথা নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন ব্যবসার নামে অর্থ বানিজ্য খুবই দুঃখ জনক।পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত এক পুলিশ সদশ্য জালাল জানান, এই স্কুলের শিক্ষক সাইফুল শিক্ষা এবং শিক্ষক নামের কলঙ্ক, এই স্কুল কে সে কলুশিত করেই কেবল ক্ষ্যান্ত হয়নি, ইত পুর্বে সে রাজশাহী একটি হোটেলে যৌন সংক্রান্তে পুলিশ কে ম্যানেজ করে কোন রকম সন্মান রক্ষা করে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার।মডেল স্কুলের শিক্ষক টিটু জনায়, শিক্ষক সাইফুল বিভিন্ন শিক্ষিকাকে মধ্য রাতে ফোন করে ও উৎতক্ত করে। অপরদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীর পিতা মাতার প্রত্যাশা সর্বপরি এই বিদ্যালয়টিকে বাঁচাতে শিক্ষক সাইফুল এর্ব গার্ড ছালামের ব্যবস্থা নিতে হবে।