দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ অক্টোবর ২০১৫: অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করার ঘটনায় বেশ হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)৷ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভিআইপি নিরাপত্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও সফর থেকে সরে এসেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)৷ সিএ-র সিদ্ধান্তের বিষয়ে বুধবার মুখ খোলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ইয়ান চ্যাপেল৷ দুদিন পর বোমা ফাটালেন আরেক সাবেক অস্ট্রেলিয়ার তারকা ডিন জোন্স৷ এই জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার জানান, বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া হারের ‘লজ্জা’ থেকে রক্ষা পেয়েছে৷সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে লেখা এক কলামে এমনটাই জানিয়েছেন হালের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্স৷ বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া কেন পরাজয়ের মুখে পড়তো তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি৷ বাংলামেইল পাঠকদের জন্য ডিন জোন্সের কলামের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে ডিন জোন্স লিখেন, সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বিব্রতকর অবস্থা এড়াতে সক্ষম হয়েছে৷ সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়ে আসছে৷ আমার বিশ্বাস, সফরটি স্থগিত না হলে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করতো৷ উপমহাদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ফর্ম খুবই বাজে৷ আর অনভিজ্ঞ একটি দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে গেলে তাদের পরাজয়ই সঙ্গী হতো৷
বাংলাদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া কেন হেরে যেত তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ডিন জোন্স, অস্ট্রেলিয়া দলে টপ-অর্ডারে ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্রিস রজার্স নেই৷ বাংলাদেশ যে শুষ্ক ও টার্নিং পিচ তৈরি করে থাকে সেসব পিচে স্টিভেন স্মিথ ছাড়া মিডল-অর্ডারের অন্যদের অবস্থা ভয়াবহ বাজে৷ উপমহাদেশে টেস্ট সেঞ্চুরি করার রেকর্ড রয়েছে একমাত্র ফর্মে ফিরতে লড়াই করা শন মার্শের৷ বোলার নির্বাচনও উদ্বিগ্ন করার মতো৷ মিচেল স্টাকের্র হাঁটুর সার্জারি করা প্রয়োজন৷ উপমহাদেশে নাথান লায়নের বোলিং গড় প্রায় ৫০ এর মতো৷ অ্যান্ড্রু ফ্যাকেটে অপরিচিত মুখ (এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেক হয়নি)৷ অন্যদিকে স্টিফেন ও’ক্যাফে ও অ্যাস্টন অ্যাগার ফর্ম ফিরে পেতে সংগ্রাম করছেন (ও’ক্যাফে এক টেস্টের ক্যারিয়ারে দুই উইকেট নিয়েছেন, আর অ্যাগার দুই টেস্টে নিয়েছেন দুই উইকেট)৷এরপর তিনি উপমহাদেশের মাটিতে দল ঘোষণার সমালোচনা করে লিখেন, অস্ট্রেলিয়া উপমহাদেশের মাটিতে টেস্ট জেতার জন্য সবসময়ই পুরনো মানদণ্ডের ওপরই নির্ভর করে- দুজন ফাস্ট বোলার, একজন অলরাউন্ডার ও দুজন স্পিনার৷ এটি বিভিন্ন কারণে ফলদায়ক হয় না এবং কৌশল নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করার এটাই সঠিক সময়৷
আগামী নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া৷ সেই সিরিজ নিয়ে ডিন জোন্স লিখেন, যদি আপনি মনে করেন অসিরা কিউইদের দুমড়ে-মুচড়ে দিবে, তবে ব্যাপারটি নিয়ে আরেকবার ভাবুন৷ কিউই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, ডগ ব্রেসওয়েল, কোরি অ্যান্ডারসন ও ম্যাট হ্যানরি- সবাই-ই বল সুইং করতে পারঙ্গম৷ যদি এই কিউই বোলাররা সুইং করার মতো কন্ডিশন পায় এবং স্মিথ ও ওয়ার্নারকে প্রথম ইনিংসে দ্রুত ফেরাতে পারে, তবে তাদের (নিউজিল্যান্ডের) সিরিজ জয়ের বড় সম্ভাবনা থাকবে৷ তবে কন্ডিশন যদি গরম ও শুষ্ক হয় তবে অস্ট্রেলিয়াই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে৷’