কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য-1চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি সরবরাহ করেছিলেন ভোলা নামের এক ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই রাজাখালী এলাকা থেকে ভোলা ও মনির নামে দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

আজ দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস চক্রবর্তী বিভিন্ন তথ্য জানান। তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলায় ইতিপূর্বে আটক দুজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে নগরীর চাক্তাই রাজাখালী এলাকা থেকে দুটি অস্ত্রসহ আটক হয় ভোলা ও মনির। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র নিজেই সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করেছে ভোলা, যা তাঁর দেখানো মতে মনিরের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর জিইসি মোড়ে সংঘবদ্ধ চক্র মিতুকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ ঘটনায় মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আটজনকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে সর্বশেষ আটক মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা ও ভোলার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার। তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি। এর আগে এ হত্যার ঘটনায় আনোয়ার ও ওয়াসিম নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দুজন আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।