দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর: পর্যটন নগরী ও চায়ের রাজধানী খ্যাত, বৃষ্টি-পাতের শহর ও দেশের শীতলতম স্থান হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারে জেঁকে বসেছে শীত৷ ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের ফলে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় এ এলাকার জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে৷ বেলা বাড়ার সাথে সাথে মাঝে মধ্যে সূর্য্যের দেখা মিললেও বিকেল থেকেই প্রচুর ঠান্ডা পড়তে শুরু করে৷ সন্ধ্যার পরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে বাহিরে অবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়েছে৷ বিশেষ করে চা বাগান অধু্যষিত এলাকায় এবং হাওর পাড়ের লোকসহ দিনমজুর ও ছিন্নমূল লোকেরা পড়েছে ভীষণ বেকায়দায়৷ এখন পর্যনত্ম এসব শীতার্ত মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র কিংবা শীত নিবারনের কোন উপাদান বিতরন করতে দেখা যায়নি কোথাও৷ দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় চা শিল্প সমৃদ্ধ এলাকা শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা বাগানগুলোতে এমনিতেই শীতের তীব্রতা প্রতি বছরই বেশি থাকে৷ এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি৷ হাড় কাঁপানো শীত ও হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারনে শ্রীমঙ্গলসহ পুরো জেলার জনজীবনে চলে এসেছে চরম স্থবিরতা৷ বিশেষ করে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে৷
শ্রমজীবি অনেকেই খড় খোটা জালিয়ে রাসত্মার পাশে শীত নিবারনের চেষ্টা করেছেন৷ এদিকে তীব্র শীতের কারনে বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের মাঝে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডা জনিত রোগ৷ সিলেট বিভাগের অন্যতম বানিজ্যিক শহর শ্রীমঙ্গলের পুরাতন (বিদেশি) কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভির লৰ করা গেছে৷ ফলে জমজমাট হয়ে উঠছে এসব পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা৷ দোকানিরা জানিয়েছেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলাসহ মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব কাপড় কিনতে ক্রেতারা প্রতিদিনই এখানে আসছেন৷ এছাড়াও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার পাইকারী ব্যবসায়ীরা পোষ্ট অফিস রোডের এম সাইফুর রহমান মার্কেটে আসছেন পুরাতন কাপড়ের ঘাট্টি কিনে নিতে৷ শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেৰন কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারবার মো. হারম্ননুর রশীদ জানান, বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া রেকর্ড করা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস৷ চলতি সপ্তাহে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি৷
