Jaishankar_Foreign_Secretary_650

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি: ভারত সরকার বুধবার রাতে এস জয়শংকরকে দেশের নতুন পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ করেছে।তিনি সুজাতা সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন। তাকে কার্যত বরখাস্ত করা হয়েছে। জয়শংকর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।সুজাতা/সুজাথা সিংয়ের চাকরির মেয়াদ ৬ মাস কমানো হয়েছে। মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে সুজাতা সিংয়ের চাকরির মেয়াদ হ্রাসের বিষয়টি অনুমোদন করেছে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তিন দিনের সফর শেষে ভারত ত্যাগ করার পর মোদি সরকার বুধবার রাতে পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের স্থলে নতুন পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ দিল। ১৯৭৭ ব্যাচের আইএফএস অফিসার জয়শংকর তার অবসরে যাওয়ার মাত্র দুই দিন আগে আজই দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বিধি অনুযায়ী তার মেয়াদ হবে দুই বছর। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, আজ থেকে ২৮ বছর আগে ১৯৮৭ সালে রাজীব গান্ধী এপি ভেংকটেশরনকে অপসারণ করার পর সুজাতা সিংই হলেন প্রথম পররাষ্ট্র সচিব যাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অপসারণ করা হলো।

রিপোর্টে বলা হয়, সবদিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুজাতা সিং ও তার কাজ-কর্মের ওপর সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং বিগত মাসগুলোতে মোদি একথা গোপনও রাখেননি। কিছুদিন থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হবে এমন কথা শোনা যাচিছলো। তবে এও শোনা যাচিছলো যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাকে রাখতে চাচিছলেন।পরিশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সফরের পর তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। জয়শংকরকে পররাষ্ট্র সচিব করার সিদ্ধান্ত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। সরকার গত ছয় মাসে রাষ্ট্রদূত পদে নতুন কোনো নিয়োগ অনুমোদন দেয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপারিশ পাঠালেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তা অনুমোদন করেনি। অংশত এর কারণ হলো প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই শীর্ষ পদে পরিবর্তন চাচিছলেন।রাষ্ট্রদূত ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে আরো বেশ কিছু পরিবর্তন অপেক্ষমান রয়েছে। যা এখন কার্যকর করা হবে। প্রথম কাজটি হবে ওয়াশিংটনে জয়শংকরের উত্তসূরি নিয়োগ করা।

জয়শংকর বৃহস্পতিবার কাজ শুরু করেন এবং ফ্ব্রে“য়ারির প্রথম সপ্তাহে এনডিএ সরকারের ডাকা প্রথম মিশন প্রধানদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি যথেষ্ট স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ তার ত্বরিৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার ওপর প্রধানমন্ত্রীর আস্থা রয়েছে।