ফাঁসিতে ঝুলতেই হচ্ছে জঙ্গি আরিফকে২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা মামলায় জেএমবি সদস্য আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের মৃত্যুদণ্ডের রায় রিভিউ চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রোববার (২৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আরিফের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এন কে সাহা। ফলে বরগুনার বান্দরগাছিয়ার আরিফকে ফাঁসির কাষ্ঠে যেতেই হচ্ছে। যে মামলায় নয় বছর আগে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, শায়খের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ফারুককে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছিলো।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বোমা হামলাকারী ইফতেখার হোসেন মামুন, জেলা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুল মান্নান ও ও দুধ বিক্রেতা বাদশা মিয়া আহত হন। ২০০৬ সালের ২৯ মে এই হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, শায়খের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ফারুক ও আসাদুল ইসলাম আরিফকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ছয় জঙ্গির ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। ওই বছরের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ হাইকোর্টের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ছয় জঙ্গির জেল আপিল খারিজ করে দেন।

২০০৭ সালের ৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি ছয় জঙ্গির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিলে তাদের ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। ২৯ মার্চ রাতে আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। একই মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আরেক জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হন। এরপর আপিল করেন আরিফ।