SM10

দৈনিকবার্তা-ভোলা,৩১অক্টোবর: ভোলার লালমোহন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তার সোলায়মানের বিরম্নদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, দূর্ণিতি ও ব্যাপক অনিয়মে জড়িয়ে পরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এঘটনায় সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে৷ জানা যায়, লালমোহন সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যাবস্থাপক সোলায়মান মিয়া ১২ সালে এই শাখায় যোগদান করেন৷ তার পর থেকে একের পর ঋণ বিতরণ, টিটি, ডিডি পে-অর্ডার ও ধরনের লেন দেনের ক্ষেত্রে এই কর্মকর্তা হর হামেশা ঘুষ নিয়ে থাকেন৷ এ ছাড়াও তার দায়িত্ব পালনের কালে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান ‘কর্মসৃজন প্রকল্প’ থেকে ‘৫ পার্সেন্ট ঘুষ’ নিয়ে লালমোহনের ব্যাংকিং সেক্টরকে কলুষিত করেছেন এই কর্মকর্তা৷

জানা গেছে, এই কর্মকর্তার সর্বশেষ টার্গেটের শিকার হলেন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নৈশ প্রহরী মোসত্মফা৷ প্রায় ১ সপ্তা আগে মোসত্মফা সরকারী চাকরী করার রেফারেন্সে ৫০ হাজার টাকার ঋণের আবেদন করেন৷ অনেক দেন দরবারের পর উপজেলার আসুলি এলাকার বহুল আলোচিত সোনালী ব্যাংকের ঋণের দালাল রফিক ওরফে ভাইট্যা রফিকের মাধ্যমে রফাদফা হয়৷ ঋণ নেয়ার পর ১০ হাজার টাকা ঘুষের চুক্তিতে কর্মকর্তা সোলায়মান ৫০ হাজার টাকার ঋণ মঞ্জুর করেন মোনত্মফার নামে৷ মোসত্মফা ও তার স্ত্রী জানান, আমার একটি মেয়ে পঞ্চগড় জেলায় বিয়ে দেই৷

মেয়েকে স্বামীর কাছে সপে দেয়ার জন্য জরম্নরী টাকার প্রয়োজন হলে আমি সোনালী ব্যাংকে ঋণের আবেদন করি৷ পরে ম্যানেজার সাহেব আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবী করলে আমি নিরম্নপায় হয়ে দেওয়ার স্বীকার করি৷ ঋণের টাকা উত্তোলন করে করে দালাল বাইট্যা রফিকের হাতে ম্যানেজার সোলায়মানের জন্য ৫ হাজার টাকা এবং দালালী বাবদ রফিককে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দেই৷ চাহিদা মত ১০ হাজার টাকা না দেয়ায় ম্যানেজার স্যার আমার বাসায় গিয়ে হাজির হয়৷ কিন্তু এরই মধ্যে আমি গ্রহিত ঋণের টাকা খরচ করে ফেলি৷

পরে ম্যানেরজার স্যার আমার সাথে অনেক খারাপ আচারণ করে৷ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি স্যার জানতে পারে৷ পরিচয় গোপন রাখার শর্তে নির্ভরযোগ্য একাধিক সুত্র জানায়, নির্বাহি অফিসার জাকির হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে পেওে সোনালী ব্যাংক ভোলা প্রিন্সিপ্যাল শাখার এজিএম লালমোহনে এসে অভিযুক্ত ব্যবস্থাপক সোলায়মানের কাছে জানতে চান৷ এক পর্যায়ে ঘটনা স্বীকার করেন সোলায়মান৷ পরে ঘুষ নেয়া ৫ হাজার টাকাও ফেরত্‍ দেন মোনত্মফাকে৷ এব্যাপারে নির্বাহি অফিসার জাকির হোসেন সরকারী সফরে ইন্ডিয়া অবস্থান করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি৷ তবে অপর একটি সুত্র জানায়, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সোমবারই দুর্ণিতিবাজ কর্মকর্তা সোলায়মানকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়৷ তার অ-বর্তমানের সেকেন্ড অফিসার দায়িত্ব নিবেন বলে সুত্রটি জানিয়েছে৷

এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের কোনোটার সাথেই সম্পৃক্ততার নেই বলে জানান ব্যাংক র্কমর্কতা সোলায়মান৷ ব্যাংক র্কমর্কতা সোলায়মান একের পর এক অপকর্ম করলেও তার বিরম্নদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ৷ এ অবস্থায় ধীরে ধীরে ক্ষুব্দ হচ্ছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ৷ তার বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ব্যাংটির সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলেও মনে করছেন সচেতন মহল৷