ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের পথে শনিবার মাঝরাতে ঢাকার শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করবেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। আরও উপস্থিত থাকবেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহ বাংলাদেশে নিযুক্ত সব আরব কূটনৈতিক মিশনগুলোর প্রধানরা।

ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদলে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালকি, প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রোদিনি, কূটনৈতিক বিষয়ক বিশেষ পরামর্শক ড. মাজদি আল খালিদি, বিশেষ অর্থনৈতিক পরামর্শক মুস্তফা আবু আল রব এবং জর্দানে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত আত্তালাহ খায়রি ওবিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, কাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে মাহমুদ আব্বাসসহ তাঁর সফরসঙ্গীরা যাত্রাবিরতি করবেন। তাঁরা বিমানবন্দরের বাইরে যাবেন না। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানাবেন।বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এই কর্মকর্তা বলেন, মাহমুদ আব্বাস ও তাঁর সফরসঙ্গীরা জর্ডান থেকে জাপান যাবেন। তাঁদের বহনকারী বিমানটি জ্বালানি সংগ্রহের জন্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। ওই সময়টুকু তাঁরা বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে অবস্থান করবেন।

ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাস জানিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় (রোববার প্রথম প্রহর) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন মাহমুদ আব্বাস। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিমানবন্দরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাবেন।দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের কারণেই প্রেসিডেন্ট আব্বাস ঢাকায় তার প্রথম যাত্রাবিরতি করছেন।জর্ডান থেকে টোকিও যাওয়ার পথে ঢাকায় থেমে জ্বালানি নেবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের বিমান। মাঝের সময়টা তারা বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জেই কাটাবেন।ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিক, প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রোদিনি, কূটনীতি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা মাজদি আল খালিদী, অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা মুস্তাফা আবু আল রব ও জর্ডানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আতাল্লাহ খাইরি এই সফরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকছেন।

তাদের সঙ্গে ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এসওয়াই রামাদানও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় উপস্থিত থাকবেন বলে দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ সরকার সবসময়ই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও তার জনগণের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এসেছে। ইসরায়েলের আগ্রসনের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের পক্ষেও কথা বলে আসছে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি দিন দিন বিশ্বের সমর্থন বাড়ায় সে দেশের মানুষের জীবনেও পরিবর্তন আসছে। গতবছর ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পতাকা তোলা হয়।