chittagong 1_91955

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: রোববারের অভিজ্ঞতাটা এবার অন্যভাবে ফিরে এল তামিমের কাছে। রোববারের শেষ ওভারের শেষ বলে হেরেছিলেন। সোমবার শেষ শেষ বলে জিতল চট্টগ্রাম। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এক রানে সিলেট সুপার স্টার্সকে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। এবার ফিফটি করেও পরাজয়ের মুখ দেখতে হলো মুশফিকুর রহিমকে। নানা নাটকীয়তায় এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু ম্যাচটাও শেষ হলো নাটকের রোমাঞ্চ ছড়িয়েই।বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের কাছে মাত্র ১ রানে হারলো সিলেট সুপারস্টার্স।

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তামিমের চট্টগ্রাম। আর নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হারলো মুশফিকুরের সিলেট।সিলেট সুপারস্টার্সের বিদেশী খেলোয়াড়দের অনাপত্তিপত্র নিয়ে জটিলতার কারণে সঠিক সময়ে শুরু হয়নি দিনের প্রথম খেলা। এক ঘন্টারও বেশি সময় পর পরবর্তীতে শুরু হয় চট্টগ্রাম ভাইকিংস ও সিলেটের ম্যাচটি। খেলা বন্ধ হবার আগে অবশ্য টস হয়। সেখানে জয় পান সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাই প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রামকে।

ব্যাটিং-এ নামা চট্টগ্রামের শুরুটা ভালো না হলেও, দ্বিতীয় উইকেটে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও ইয়াসির আলী। দলীয় ১৪ রানে শ্রীলংকার তিলকরতেœ দিলশানের বিদায়ের পর তামিম ও ইয়াসির দলের স্কোর টেনে নিয়ে গেছেন ৯৩ রান পর্যন্ত। ৬৯ রান করে তামিম ফিরে যাবার পর দলের স্কোর বড় করেছেন ইয়াসির। ইনিংসের শেষ বলে আউট হবার আগে ৬৩ রান করেন ইয়াসির। ফলে ৫ উইকেটে ১৮০ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।জয়ের জন্য ১৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় সিলেট। চট্টগ্রামের বোলারদের একাই শাসন করেন শ্রীলংকার খেলোয়াড় দিলশান মুনারা। তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ৬ ওভারেই ৬৫ রান পেয়ে যায় সিলেট। এরমধ্যে একাই ৫৫ রান করেন মুনাবিরা। আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীর সংগ্রহ ছিলো মাত্র ৫ রান। আর ওখানেই থামতে হয় জুনায়েদকে। তখন দলের স্কোর ৬৬।

এরপর দলীয় ৭৬ রানে ফিরেন মুনাবীরাও। ১৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কায় ৩০ বলে ৬৪ রান করেন মুনাবীরা। মাঝে তিন নম্বরে নামা মোমিনুল হক ফিরেন ২ রান করে। ফলে চাপে পড়ে যায় সিলেট। দলের সেই চাপ দূর করেন অধিনায়ক মুশফিকুর ও নুরুল হাসান। ৫৫ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন তারা। এরমধ্যে ৩২ রান অবদান রেখে ফিরেন নুরুল।তবে দলের জয়টা নিশ্চিত করার পথেই ছিলেন মুশফিকুর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন তিনি। কারণ মোহাম্মদ আমিরের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ বল থেকে মাত্র ১ রান নিতে সমর্থ হন শ্রীলংকার ব্যাটসম্যান অজন্থা মেন্ডিস। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের সমীকরণ ৩ রানে নামিয়ে আনেক মুশফিকুর।তাই ইনিংসের শেষ বলে জয়ের জন্য ৩ রান দরকার পড়ে সিলেটের। কিন্তু মোহাম্মদ আমিরের করা ঐ বল থেকে মাত্র ১ রান নিতে সমর্থ হন মুশফিকুর। ফলে ১ রানে ম্যাচ জিতে নেয় তামিমের চট্টগ্রাম। ৩৪ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থেকে যান মুশফিকুর। চট্টগ্রামের শফিউল ৩ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের শফিউল ইসলাম।