বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানির জন্য পেপার বুক রোববার হাইকোর্টে এসেছে।সরকারি ছাপাখানা বিজিপ্রেস থেকে রোববার দুপুরে তা হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছেছে।

হাই কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ বলেন, এখন সংশ্লিষ্ট শাখা ছয় হাজার পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স ও পেপারবুক মিলিয়ে দেখবে। এরপর হয়ত আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।গত ১৬ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার রায়ের পর নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ডের অনুমোদন) হাই কোর্টে আসার পর দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।তিনি বলেছিলেন, বিচারিক আদালতের রায় যাতে উচ্চ আদালতে যেন বহাল থাকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন।একসঙ্গে দুই মামলার বিচার শেষে গত ১৬ জানুয়ারি রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৈয়দ এনায়েত হোসেন। সেনাবাহিনীর বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় ওই রায়ে; বাকি নয়জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ।মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে যারা কারাগারে আছেন তারা হাই কোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন। এছাড়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদন্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথিও ডেথ রেফারেন্স আকারে হাই কোর্টে আসে।এরপর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন।পরে হাই কোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা থেকে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য মামলার সকল নথি বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। সেখানে মুদ্রণ শেষে রোববার তা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।