বিসিএসের  পরীক্ষায়

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর: ৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ৯৮২২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন আর আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে৷বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন এ ফল প্রকাশের কথা জানানদুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগের জন্য ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে পিএসসি৷ ওই বছরের ২৪ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে এক লাখ ৯৬ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন৷ চৌত্রিশতম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮২২ জন চাকরিপ্রত্যাশী, যাদের এবার মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে৷ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন বৃহস্পতিবার জানান, কমিশনের ওয়েবসাইটে লিখিত পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে৷ মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে৷ এছাড়া টেলিটক মোবাইল থেকে ইঈঝ লিখে স্পেস দিয়ে ৩৪ লিখে স্পেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠালে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি৷ কোটা নিয়ে জটিলতার কারণে এ বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল দেওয়া হয় দুই দফায়৷ গত বছরের ৮ জুলাই কোটার ভিত্তিতে প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন৷ এতে মেধাবী অনেকেই বাদ পড়েছেন অভিযোগ তুলে ১০ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তাতে যোগ দেন৷ বিক্ষোভের মুখে ১৪ জুলাই ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারির পুনর্মূল্যায়িত ফল দেওয়া হয়, যাতে রেকর্ড সংখ্যক ৪৬ হাজার ২৫০ জন উত্তীর্ণ হন৷ আগের উত্তীর্ণ সবাইকে রেখেই পুনর্মূল্যায়িত ফল দেওয়া হয়েছে বলে পিএসসি দাবি করলেও প্রথমবার উত্তীর্ণদের মধ্যে ২৮১ জন আদিবাসী বাদ পড়েন৷ এ নিয়ে বঞ্চিত আদিবাসীরা পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত আবেদন করেন৷ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন তারা৷ এরপরেও তাদের উত্তীর্ণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আগের ফলে উত্তীর্ণ ৫৯ জন আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়য়া গত বছরের ২৮ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন৷ ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতবছর ৩১ জুলাই এক আদেশে প্রথম ফলে উত্তীর্ণ ৫৯ রিটকারীসহ ২৮১ জনকে বাদ দিয়ে প্রকাশিত ফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চায়৷ এছাড়া পুনর্মূল্যায়িত ফলে আদিবাসী কোটায় আবেদনকারীদের বাদ দেওয়ার কারণও জানতে চায় হাই কোর্ট৷ পরে হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আদিবাসী কোটার প্রার্থীরাও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান৷