পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের গর্ববোধ করি। বঙ্গবন্ধুর কারণে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। স্বাধীন দেশের কারণে আমরা বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে দায়িত্বপালন করতে পারছি। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে জাতি আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানীরা আমাদের ভাই না, তারা আমাদের শোষক এটাই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছেন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেন। ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনাও দেন বঙ্গবন্ধু। তবে লজ্জার বিষয় অন্য একজনকে স্বাধীনতার ঘোষক করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে ষড়যন্ত্র করছে। তারা আবার জাতীয়বাদী মুক্তিযোদ্ধা। এটা লজ্জাজনক। মুক্তিযোদ্ধাতো মুক্তিযোদ্ধাই। যাদের বাপ-দাদা মুক্তিযোদ্ধা তাদের অনেকের সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধেও ইতিহাস জানে না। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর সংবর্ধনা আয়োজন করতে হবে।

রবিবার রাতে ফেনী জেলা পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স মাঠে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ফেনী জেলায় কর্মরত ও এ জেলার অধিবাসী ৬১ পুলিশ ও শহীদ পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ফেনীর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হকের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ কাউছারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহা: শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ মো. আমিনুল হক, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আবু দাউদ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি.কম, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আব্দুল হান্নান। এছাড়া অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ছাড়াও সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহন করেন। সংবর্ধনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। শিল্পী আবদুর জব্বার ও ফাতেমাতুজ জোহরার দেশাত্ববোধক গানে দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে।