স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
গুলশানের হলে আর্টিজানে বিদেশী হত্যা ও শোলাকিয়ায় পুলিশ হত্যায় ঘটনায় জঙ্গি সংগঠনগুলোর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন ছিলো বলে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন রাজনৈতিক ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে কাজ করছে আইন শৃংখলা বাহিনী।

গুলশানের হলে আর্টিজানে হামলা ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গি নিহত হয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে আরেক জঙ্গি হামলায় ২ পুলিশ সদস্য নিহত হন। পুলিশের হাতে আটক জঙ্গিরা কিছু তথ্য দেয় আইন শৃংখলা বাহিনীকে। সেসব তথ্য অনুযায়ী গোয়েন্দারা এখন খুঁজছেন ওই ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড কয়েকজনকে। এ পরিস্থিতিতে রাজধানীর খামারবাড়ীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।

তিনি বলেন, এসব ঘটনার পেছনে অবশ্যই রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে। আগেও তারা করেছে, এখনও করছে। যাদের আমরা ধরেছি তারাই এসব স্বীকার করছে। তারা কোনো এক সময় বা এখনও জামায়াতে ইসলামের ক্যাডার বলে পরিচিত। শুধু জামায়াতে ইসলাম নয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সদস্যও তারা। তারা কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জঙ্গি হয়েছে তাও আপনারা জানেন। বাগমারায় বাংলা ভাইয়ের সময়ে কারা নেতৃত্বে ছিলো সেটাও আপনাদের জানা আছে। শীর্ষ জঙ্গী নেতাদের গ্রেফতারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা এসব মাস্টারমাইন্ডদের এবং অর্থ যোগানদাতাদের একের পর এক চিহ্নিত করছি। তাদের শিঘ্রই আমরা গ্রেফতার করতে পারবো আইনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে টার্গেট আগষ্ট শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।