জাল কাগজ পত্র দাখিল করে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভূক্ত হওয়ার অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর নিদের্শে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই এর সময় ২৮ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছায়ের কাজ শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে।

মহেশপুর উপজেলা পরিষদের সামনে শনিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছায়ের কাজ। তবে এখনও কোন মুক্তিযোদ্ধাকে বাদ দেওয়া হয়নি বলে জানাগেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন, মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান, মহেশপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ড.আব্দুল মালেক গাজিসহ উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মহেশপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডঃ আব্দুল মালেক গাজী ২৮ জন মুক্তিযোদ্ধা কে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে উল্লেখ করে এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যাহা তদন্ত করে রিপোট দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহেশপুর কে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর পুর্বে মহেশপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আসেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। সেখানে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শফিকুল আজম খান চঞ্চল ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপিকে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, সাবেক প্রচার সম্পাদক মোক্তার হোসেন, পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান, পান্তাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ