দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে হলে শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপদেষ্টা পরিষদের চতুর্থ সভায় তিনি এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা বিস্তারের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ হাতে নেন। মেয়েদের জন্য উপবৃত্তি চালু করেছিলেন। এছাড়াও শিক্ষা বিস্তারের জন্য বর্তমান সরকারেরর নানামুখী পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি। শিক্ষার জন্য নানা সুযোগ সৃষ্টির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একমাত্র শিক্ষাই পারে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। শেখ হাসিনা সভায় বঙ্গবন্ধুর শিক্ষানীতির কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেছিলেন, নারী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সময়ে ৩৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ হয়েছিল।

আর পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের কথাও শেখ হাসিনা মনে করিয়ে দেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষ শিক্ষার সুযোগ পেলেও যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল, তাদের সময়ে মানুষ ‘অবহেলিত’ ছিল। প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে বই বিতরণ, সরাসরি অভিভাবকদের হাতে বৃত্তি-উপবৃত্তি পৌঁছে দেওয়া, কম্পিউটারের শুল্ক ছাড়সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে সভায় বলেন, তার সরকার শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।প্রত্যন্ত হাওর ও পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় আবাসিক স্কুল চালুর কার্যক্রমের কথাও প্রধানমন্ত্রী সভায় তুলে ধরেন। প্রেস সচিব বলেন, ২০১৫-২০১৬ বছরে সরকার ২ হাজা ৪৬৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি, বৃত্তি ও অন্যান্য বৃত্তি দিয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।