27-10-16-awami-league_banani-grave-22

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হতাশাগ্রস্ত একটি দল। ঘরে বসে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে তাদের কাজ সীমাবদ্ধ। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।বৃহস্পতিবার সকালে বনানী কবরস্থানে ৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নিহত বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে গণতন্ত্র বা কোনো অর্জন নেই বিএনপি’র এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে এটা আগে প্রমাণ করুক। বিএনপি’র মধ্যেই কোনো গণতন্ত্র নেই, অথচ তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল, বৃহৎ একটি দল।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের কাউন্সিলে সম্পূর্ণ গণতন্ত্র মেনে নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। কাউন্সিল নিয়ে জনগণের যথেষ্ট আগ্রহ ছিল।এর আগে ৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা।

এ সময় তারা প্রতিটি শহীদের কবরে ফুলের পাপড়ী ছিটিয়ে দেন। শ্রদ্ধা শেষে সুরা ফাতেহা পাঠ করে মোনাজাত করা হয়।এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, এডভোকেট সাহারা খাতুন, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম ও এনামুল হক শামীম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদসহ নব নির্বাচিত কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এদিকে, আগামী নির্বাচনে নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি করলে বিএনপি ‘আবারও নিজেদের ভুলের ফাঁদে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভারতের হাই-কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলেও সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে এই প্রথম তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আর দুই বছর দুই মাস আছে আমাদের। আমরা যথাসময়েই নির্বাচন করব। অলরেডি পার্টি কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা, নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করব। আমরা অলরেডি শুরু করে দিয়েছি।নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ কী ভাবছে জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমাদের সংবিধানে যা আছে, সেভাবে হবে। এখন সংবিধানে যা আছে তা পরিবর্তন বা সংশোধনের কোনো উপায় নেই। বিএনপিকে সেটা মেনে নিতে হবে।তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ভোটের দাবিতে বিএনপির দশম জাতীয় নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব করে আবার তারা যদি পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে কোনো কনফিউশন তৈরি করে, তাহলে তারা নিজেরাই নিজেদের ভুলের ফাঁদে পড়ে যাবে।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেন কাদের।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কী, বিএনপির সাথে আলোচনা কেন করতে হবে। বিএনপি কী আলোচনা বা সংলাপের পথ খোলা রেখেছে? তাদের পথ তারাতো বন্ধ করে দিয়েছে।ওবায়দুল কাদেরের মতে, নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়েছে।এখন নালিশ আর নালিশ, অভিযোগ আর অভিযোগ। হিসেবে তো তাদের কিছু নেই, ঘরে বসে প্রেস ব্রিফিং আর স্টেটমেন্ট। ২০০ বা ৫০০ লোক নিয়ে একটি প্রসেশন যে করবে- সে সক্ষমতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। দেখুন, অপজিশন হিসেবে নিজের সক্ষমতা না থাকলে নিজের গুরুত্বটা প্রতিষ্ঠা করা যায় না।নিজের দলকে সংগঠিত করার বিষয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, দলে সব ধরনের লোকই থাকে। তবে আমার এখানে যে বিষয়টা কনসার্ন থাকবে, যে বিষয়টা দেখতে হবে, যাতে বসন্তের কোকিলরা এসে দুঃসময়ের কর্মীদের কোণঠাসা করে না ফেলে। তাতে দল দুর্বল হয়ে যাবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সংশয় বা অবিশ্বাসের কোনো বিষয় নেই দাবি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে সরকার আশাবাদী।আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে, তখন ইতিবাচক কিছু আসবে বলে আমরা আশা করছি।সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কোন বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ মনে করেছেন- এ প্রশ্নে কাদের বলেন, পার্টির চ্যালেঞ্জ হল আগামী নির্বচান সামনে রেখে পার্টিকে আরও গতিময় করা এবং স্মার্টার করা। দলের যে ছোটখাট সমস্যাগুলো আছে ডিসিপ্লিন ফিরেয়ে এনে নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া ভারতের হাই-কমিশনার ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান কাদের।পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হওয়ার মধ্যে দিয়ে ভারতের রুলিং পার্টিসহ অন্যান্য দলের সাথে পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক, আমাদের কানেকটিভিটি আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছি, বলেন কাদের।