শুরু হয়েছে নতুন জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচন দৌড়

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর নিহত সদস্যদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উচ্চারিত হলো ছয় বাংলাদেশির নাম। যুদ্ধ ও সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত জাতিসংঘের হয়ে কর্তব্য পালনের সময় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে গতকাল বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। পাঁচ বছর ধরে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আনুষ্ঠিকভাবে স্মরণসভার আয়োজন করছে জাতিসংঘ।

নিহত ব্যক্তিদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে স্মরণসভায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, বোমা বা বুলেট নয়, মানুষের চেতনার চেয়ে কিছুই শক্তিশালী নয়। তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানা জাতির, নানা বিশ্বাসের লোকজন শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেন। জাতিসংঘের নীল পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাঁরা যুদ্ধ-সংঘাত নিরসনে আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাঁদের চেতনাই আমাদের শান্তি অন্বেষণে অনুপ্রাণিত করবে।অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণ পরিষদের বর্তমান সভাপতি পিটার টমসন ও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ভিটালি আই চারকিন উপস্থিত ছিলেন। অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ কে এম আখতারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিহত শান্তিরক্ষীদের পরিবার ও কূটনীতিকদের সামনে নিহত সবার নাম পড়ে শোনানো হয়। এ সময় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ওই সময়ের মধ্যে নিহত ছয় বাংলাদেশির নাম উল্লেখ করা হয়।তাঁরা হলেন আইভরি কোস্টে নিহত মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মালিতে নিহত নীলকান্ত হাজং, মোতাহার হোসেন ও মোহাম্মদ সামিদুল ইসলাম, সুদানে নিহত মইনুল এ খান ও লাইবেরিয়ায় নিহত মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত বছর জাতিসংঘের হয়ে কাজ করতে গিয়ে ৫০ দেশের ১২৯ জন নিহত হন।