%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%a8-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%83%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87

বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন দেশের একমাত্র সরকারি মুঠোফোন অপারেটর টেলিটকের কর্মীরা। গুলশানের রাজউক ভবনে টেলিটকের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার সকাল থেকে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। টেলিটক এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি চলছে। গত বছরের জুলাই হতে শতভাগ বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে টেলিটকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করছেন। সোমবার সকাল থেকে গুলশানে টেলিটকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মস’চি পালন শুরু করেন তারা। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কর্মীরা যোগ দিয়েছেন।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানান টেলিটক এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (টেওয়া) এর সভাপতি প্রকৌশলী আবু রায়হান মো. আল কাউসার। টেলিটক কর্মীরা জানান, শতভাগ বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে টেলিটকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্তৃপক্ষ বরাবর দাবি জানিয়ে আসছেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে ২৩ আগস্ট শতভাগ পর্যন্ত বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রদান করায় আন্দোলন থেকে সরে আসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মবিরতির ক্ষতি পুষিয়ে দিতে ২৭ আগস্ট সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস করেন তারা।

কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর টেলিটকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ভাতা ব্যতিরেকে মূল বেতন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়, যা অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় জুলাই ২০১৫ সালের পরিবর্তে সেপ্টেম্বর ২০১৬ হতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সাথে বিভিন্ন পদে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট এর হার কমানো হয়। টেলিটকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে গত বছরের জুলাই থেকে বেতন-ভাতা শতভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার দাবি জানান।অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু রায়হান মো. আল কাউসার বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো আমরা বেতন শতভাগ বাড়ানোর জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই এ নিয়ে টালবাহানা করছে। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের কর্মবিরতিতে যেতে হয়েছে।

এর আগে গত ২১ আগস্ট টেলিটকের কর্মীরা একই দাবিতে কর্মবিরতিতে যান। তখন ওই দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা। প্রতিমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের শতভাগ পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে বলা হয়। টেলিটকের কর্মীরা বলছেন, সেই সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি।দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজউক ভবনের নিচতলায় টেলিটকের তিন শয়েরও বেশি কর্মী কর্মবিরতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। টেলিটক কার্যালয়ের কাজকর্ম কার্যত বন্ধ রয়েছে। গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সেবা দেওয়ার কেউ নেই। টেলিটকে বর্তমানে সাড়ে পাঁচ শ স্থায়ী কর্মী রয়েছেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এভাবে কর্মবিরতি আমরা পালন করতে চাই না। কিন্তু বাধ্য হয়ে আমাদের আন্দোলনে যেতে হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে টেলিটকের কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে পড়বে।টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে তাঁর কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।