যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এক্স স্টুডেন্টস্ এ্যাসোসিয়েশনদেশের শিক্ষাঙ্গনে অত্যান্ত সুপরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। জন্মলগ্ন হতেই লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীতে কলেজটি স্বীয় মান অক্ষুন্ন রেখেছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহজেই বেড়ে উঠে আদর্শ ও সুনাগরিক হিসাবে। কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি এ কলেজে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের মাধ্যমে কলেজের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।

১৯৬৯ সালের ১লা জুলাই যশোর সেনানিবাসের কেন্দ্রস্থলে দাউদ পাবলিক স্কুলের অডিটোরিয়াম-এর গ্রীন রুমের ০৫জন ছাত্রী নিয়ে কলেজ শাখার কার্যক্রমের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশোর। তৎকালীন নাম দাউদ পাবলিক স্কুল ও কলেজ, পরবর্তীতে নামকরণ হয় দাউদ পাবলিক স্কুল ও ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন করিমউদ্দীন ও জনাব আশরাফ আলী শুরুতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে দায়িত্ব পালন করলেও প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মরহুম জাহির হাসান মারুফ। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত শুধু মানবিক শাখার মধ্যেই কলেজ শাখার সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৭৭ সালে ৪ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে বিজ্ঞান শাখা চালু করা হয়। পরবর্তীতে কলেজে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ভাল ফলাফলও করতে থাকে। যাশোর বোর্ডে মেয়েদের মধ্যে প্রথম, ছেলেদের মধ্যে থেকে প্রথম থেকে দশম স্থান পর্যন্ত করতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রয়োজনের তাগিদে ১৯৮৩ সালে আগষ্ট মাসে দাউদ পাবলিক স্কুল ক্যাম্পাস হতে কলেজ শাখা বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। নতুন ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় কলেজটির ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা। ১৯৮৫ সালে শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে বাণিজ্য শাখা। ঐ বছর হতেই কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখার পূণাঙ্গ রূপলাভ করে।

বর্তমানে এর ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৫০০০। জন্মলগ্ন থেকে অদ্যাবধি কলেজ হতে শিক্ষালাভ করে আজ সারা বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁদের নিজ পেশায় সুনামের সাথে কর্মরত আছেন। যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এক্স স্টুডেন্টস্ এ্যাসোসিয়েশন ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠা লাভের পর এ পর্যন্ত ৪টি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে এবং কলেজের দরিদ্র মেধাবী ছাত্রদের ভিতর বৃত্তি প্রদান, বই বিতরণ সহ নানাবিধ সেবামূলক কাজ ইতিমধ্যে করেছে। আমরা আশা করছি এই সেবামূলক কর্মকান্ড আরো গতিশীল, তহবীল উন্নয়ন ও কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আরো সম্প্রীতি এবং যোগাযোগ বৃদ্ধি করবার লক্ষে পুনমিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছি। কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকে শিক্ষাজীবনে অর্জিত আদর্শ শিক্ষার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। আবার অনেকের পড়াশোনার জীবন এখনও শেষ হয়নি, সব কিছু মিলে পুনর্মিলনীতে স্মৃতির স্রোতে ভাসবেন, হাসবেন অথবা দীর্ঘশ্বাস ছাড়বেন। আর ফিরে যাবেন অতীতের মনোলোকে। ধুলোর আস্তরণ সরিয়ে বারে বারে হারানো স্মৃতিটাকে খুঁজে বের করার চেষ্ঠা করবেন। এ এক বিপুল বিস্ময়, এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সকলের মাঝে সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

আগামী সম্ভাব্য ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বুধবার (ঈদ উল আযহার ৩য় দিন) পুনর্মিলনী ২০১৬ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। সারা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫০০জন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের সম্মতি প্রদান করেছে। কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বিশিষ্টজন আছেন যারা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের সদয় সম্মতি প্রকাশ করেছেন। সারাদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রাক্তন অধ্যক্ষদের সম্মাননা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মাননা, স্মৃতিচারণ পর্ব, এ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যাফেল ড্র সহ চা চক্র, মধ্যাহ্ন ভোজন এর আয়োজন থাকবে।

একনজরে তথ্য
কলেজ প্রতিষ্ঠা ঃ ১৯৬৯ সালের ০১ জুলাই
প্রথম শুরু ঃ দাউদ পাবলিক স্কুল ক্যাম্পাস
শুরুর ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ঃ ০৫ জন
বর্তমান ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ঃ ৫০০০এর অধিক
সকল ব্যাচের প্রাক্স ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম পুনর্মিলনী ঃ ১৯৯৯, দ্বিতীয় পুনর্মিলনী ঃ ২০০১, তৃতীয় পুনর্মিলনী ঃ ২০০৩ চতুর্থ পুনর্মিলনী ঃ ২০০৮ এবার ৫ম পুনর্মিলনী ঃ ২০১৬

এবারের অনুষ্ঠানে থাকছে-
# উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
# চা চক্র
# ব্যাচ ভিত্তিক পরিচিতি ও স্মৃতিচারণ পর্ব সকল ব্যাচের
# মধ্যাহ্ন ভোজন
#এ্যাসোসিয়েশন সম্পর্কে আলোচনা ও নতুন কমিটি গঠন
# প্রাক্তন অধ্যক্ষ/শিক্ষক/বিশিষ্টজনদের শুভেচ্ছা বক্তব্য
# সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান # র‌্যাফেল ড্র

বিগত দিনগুলিতে যে সকল কার্যক্রম আমরা করেছিলাম তার সংক্ষিপ্ত চিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরছি
# আমরা মোট চারটি পুনর্মিলনী করতে পেরেছিলাম-১৯৯৯, ২০০১, ২০০৩ ও ২০০৮ সালে আর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০১৬ সালে।
# ঈদ পুনর্মিলনী ২০০০ ও প্রথম অভিষেক অনুষ্ঠান
# আবিস্কার ঃ যশোর জেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের শহীদ আলতাফ হোসেন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক বিভাগে ১ম বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং সন্মুখ যুদ্ধে চৌগাছা যুদ্ধ ক্ষেত্রে শহীদ হন। এই মহান আবদানকে স্মরণ করে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এক্স স্টুডেন্টস এ্যাসেসিয়েশন কলেজে শহীদ আলতাফ হোসেন স্মৃতি ফুটবল ম্যাচ চালু করেছে। এ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব অনুযায়ী কলেজের কেন্দ্রীয় পাঠাগারটি শহীদ আলতাফ হোসেনের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
# শহীদ আলতাফ হোসেন স্মৃতি ফুটবল ম্যাচ ২০০০ ঃ ১৬ আগষ্ট ২০০৮ তারিখে কলেজ মাঠে শহীদ আলতাফ হোসেন স্মৃতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কলেজ একাদশ বনাম প্রাক্তন ছাত্র একাদশ।
# কৃতি ছাত্র-ছাত্রী সংবর্ধনা
# ফর্ম পূরণে সাহায্য প্রদান ঃ
# বৃত্তি প্রদান ঃ
# কলেজ অধ্যক্ষের বিদায় সংবর্ধনা ঃ
# বৈশাখী মেলায় স্টল ঃ ১৪০৭ ও ১৪০৮
# বিনা মূল্যে বই বিতরণ ঃ
# সংবর্ধনা প্রদান (জহির হাসান মারুফ স্মৃতি পদক) ঃ ২০০১ সাল
# স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ঃ
# এককালীন আর্থিক সাহায্য ঃ
# বিতর্ক প্রতিযোগিতা ঃ দুইটি সৌজন্য টিকিট প্রদান করে।
# বাৎসরিক পিকনিক ঃ
# সংবর্ধনা প্রদান ঃ ২০০২ সাল
# আর্থিক সাহায্য প্রদান ঃ অনার্স এর একজন ছাত্র
# শীত বস্ত্র বিতরণ ঃ
# ১০ জনকে বৃত্তি প্রদান ঃ ২০০২ সাল
# পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর সময় উপহার ঃ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেনের মাকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর সময় উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
# ইফতার মাহফিল
# বাৎসরিক পিকনিক ২০০৩ ঃ