রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আরও ২৬টি ওয়ার্ডে সপ্তম ও শেষ ধাপের স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে।ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।গত বছরের অক্টোবর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়। অগাস্টে বিতরণের মাধ্যমে তা শেষ হবে।শাহ আলম বলেন, কার্ড বিতরণের বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে প্রচার চালাচ্ছি আমরা।

সপ্তম ধাপ: উত্তর সিটির ২, ৩, ৫, ৬, ৮, ৯, ১০, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ৩০, ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণের ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে এই ধাপে। সপ্তম ধাপের কার্যক্রম শুরু হবে উত্তর সিটির তিন নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে। ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণ করা হবে।একই সময় রাজধানীর পাশের ১৬টি ইউনিয়নের নাগরিকদের মধ্যেও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।সপ্তম ধাপ যখন যেখানে মিলবে স্মার্ট কার্ড: শাহ আলম জানান, স্মার্ট কার্ড নিতে আসা নাগরিকদের হাতের দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি সংগ্রহ করা হবে। কার্ড নিতে আগের লেমিনেটেড এনআইডি সঙ্গে আনতে হবে।

যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে ১০৫ নম্বরে ফোন করে স্মার্ট কার্ড বিতরণ সম্পর্কিত তথ্য জানা যাবে।এছাড়া ঝঈ স্পেস ঘওউ স্পেস এনআইডির ১৭ নম্বরের ডিজিট টাইপ করে ১০৫ নম্বরে পাঠালেও ফিরতি এসএমএসে বিতরণের স্থান ও সময় জানা যাবে। এনআইডি নম্বর ১৩ ডিজিটের হলে এর আগে জন্ম সাল যোগ করতে হবে।স্মার্ট জাতীয় পেতে মূল জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নির্ধারিত সময়ে স্বশরীরে নির্দিষ্ট বিতরণ কেন্দ্রে হাজির থাকতে হবে। যারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি, তাদের মূল নিবন্ধন স্লিপ সঙ্গে নিতে হবে।

মূল জাতীয় পরিচয়পত্র বা নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।নির্ধারিত দিনে স্মার্ট কার্ড নিতে ব্যর্থ হলে পরে সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে তা নিতে হবে বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা শাহ আলম।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩ অক্টোবর রাজধানীতে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।