প্রথম তিন ম্যাচে ছিলেন বিবর্ণ।জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা চলে যাওয়ার পরই উজ্জ্বল জাতীয় দলের বাইরে থাকা রকিবুল হাসান। পরাজয়ের শঙ্কা থেকে অপরাজিত ইনিংস খেলে মোহামেডানকে জেতালেন অধিনায়ক।ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ফতুল্লায় ১৯০ রান তাড়ায় মোহামেডান জিতেছে ৩১ বল বাকি রেখে।

ওভার পর্যাপ্ত বাকি থাকলেও ছিল না উইকেট। রান তাড়ার মাঝপথেই হারায় অর্ধেক। সেখান থেকেই টেনে দলকে জিতিয়েছেন রকিবুল। অপরাজিত ৭৬ রানে।শুরুতে বোঝা যায়নি, মোহামেডানের জয়টা এত কষ্টের হবে। দুশর নিচে লক্ষ্য, শুরুটা ছিল ঝড়ো। প্রথম তিন ওভারে আসে ২৫ রান।তিন ছক্কায় ২০ রান করে ফেরেন ওপেনার সৈকত আলি। তাতেও সমস্যা হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন রনি তালুকদার ও অভিনব মুকুন্দ।এই জুটি ভাঙা থেকেই মোহামেডানের হোঁচট খাওয়ার শুরু। রবিউল ইসলাম রবি পরপর দু বলে ফেরান রনি ও শামসুর রহমানকে। খানিক পর ভারতীয় ব্যাটসম্যান মুকুন্দও (৩৫) রবির শিকার। ওই ওভারেই রান আউট অভিষেক মিত্র। ১ উইকেটে ৮৭ থেকে আচমকাই ৫ উইকেটে ৯৪!

রকিবুলের সঙ্গে ছোট্ট একটা জুটির পর বিদায় নেন নাজমুল হোসেন মিলনও। ১২৪ রানে ৬ উইকেট হারানো মোহামেডানের তখন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কেবল রকিবুল। দারুণ খেলে দলকে জেতালেন অধিনায়কই।রান রেটের চাপ ছিল না। প্রয়োজন ছিল কেবল একটি জুটি। রকিবুলকে সেই সঙ্গ দিলেন তাইজুল ইসলাম। দুজনের জুটিতেই শেষ ম্যাচ!রান বাড়ানোর কাজ করেছেন রকিবুল। তাইজুল ছিলেন উইকেট আঁকড়ে। সপ্তম উইকেটে ৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে রকিবুলের রান ৪২ বলে ৪৪, তাইজুল ৪৭ বলে ১৪!আরিফুল ইসলাম জনির এক ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে ম্যাচের ইতি টেনেছেন রকিবুল। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৭৬। মোহামেডানের জয়ের ভিত গড়া হয়েছিল বোলারদের হাতে। দারুণ বোলিং করেছেন দুই পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মোহাম্মদ আজিম। দুই বাঁহাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়র ও তাইজুলও ছিলেন দুর্দান্ত। খেলাঘর যদিও একসময় বড় কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। ৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে রবিউল ও নাফিস ইকবাল গড়েন ৫২ রানের জুটি। তৃতীয় উইকেটে রবিউল ও অমিত মজুমদারের জুটি ৫১ রানের।এই দুজনের বিদায়েই ধসের শুরু। ৭৩ বলে ৬৩ রান করা ওপেনার রবিউলকে ফেরান রাব্বি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অমিত এবার দুটি করে চার-ছয়ে করেছেন ৫৩।এরপর আর সুবিধা করতে পারেননি কেউ। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা নাজমুস সাদাত ফিরে গেছেন শূন্য রানেই। অভিজ্ঞ নাজিম উদ্দিনও ব্যর্থ। খেলাঘর শেষ ৭ উইকেট হারায় ৪২ রানে।ওই পুঁজি নিয়েও লড়াই করেছে প্রিমিয়ার লিগে নবাগত ক্লাবটির বোলাররা। কিন্তু পার্থক্য গড়ে দিলেন রকিবুল।