শততম টেস্টে নতুন শুরু হল বাংলাদেশের। কলম্বোর পি সারা ওভাল হয়ে উঠলো দেশটির উৎসবের মঞ্চ। উপলক্ষ্যের ম্যাচে দেশের বাইরে নিজেদের সেরা জয় তুলে নিল বাংলাদেশ।ব্যাটে-বলে দাপুটে ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ ৪ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। অনেক স্বপ্নের দিন শেষ হয়েছে হতাশায়। সম্ভাবনা মিলিয়ে গেছে নিদারুণ ব্যর্থতায়। এবার তেমন হতে দিল না বাংলাদেশ। শুরুটা করলেন তামিম ইকবাল, শেষ করলেন মিরাজ। বর্তমান মিলল ভবিষ্যতের সঙ্গে, এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগাল বাংলাদেশকে।ঐতিহাসিক জয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতহাসে শততম টেস্ট স্মরণীয় করে রাখলো বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচ জেতার গৌরব অর্জন করেছে টাইগাররা। ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় মুশফিকের দল। ফলে, ১-১ সমতায় শেষ হলো দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।

কলম্বোর পি সারা ওভালে ১৯১ রানের সহজ লক্ষ্যটা কঠিন করে ৬ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ৩৩৮ রানে। জবাবে, ৪৬৭ রান তোলে টাইগাররা। লিড পায় ১২৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানরা ৩১৯ রান তোলে। ফলে, টাইগারদের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ১৯১ রান।একদিকে নিজেদের শততম টেস্ট, অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে শক্তিশালী কোনো দলের বিপক্ষে প্রথমবার জয়ের হাতছানি। সবমিলিয়ে কলম্বোর পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ দিনে বেশ রোমাঞ্চ নিয়েই ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।.জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় অষ্টম ওভারে রঙ্গনা হেরাথের শেষ দুই বলে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস বিদায় নেন। সৌম্য ১০ রান করে উপল থারাঙ্গার ক্যাচে পরিণত হন। পরের বলেই শূন্য রানে থাকা গুনারতেœকে ক্যাচ দেন ইমরুল। সৌম্য-ইমরুল দ্রুত ফিরে গেলেও উইকেটে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাব্বির রহমানকে নিয়ে ১০৯ রানের জুটি গড়েন। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম হাফসেঞ্চুরি। তবে ব্যক্তিগত ৮২ রানের মাথায় দিলরুয়ান পেরেরার বলে তুলে মারতে গিয়ে চান্দিমালের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। অসাধারণ ইনিংসটি সাজাতে খেলেছেন ১২৫ বল, রয়েছে সাতটি চার ও একটি বিশাল ছক্কার মার।

তামিমের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাব্বির রহমান। টেস্ট মেজাজে খেলতে থাকা এই হার্ডহিটার পেরেরার দ্বিতীয় শিকারে এলবির ফাঁদে পড়েন। ৭৬ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৪১ রান করেন তিনি। পেরেরার তৃতীয় শিকারে পরিণত হন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ১৫ রানে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিওন মুখি হন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। জয়ের জন্য দুই রান বাকি থাকতে বিদায় নেন মোসাদ্দেক (১৩ রান)। মুশফিক ২২ রানে আর মিরাজ ২ রানে অপরাজিত থাকেন।এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা ৩১৯ রান তোলে। শেষ দিনের শুরুতে দিলরুয়ান পেরেরা ও সুরাঙ্গা লাকমাল বাংলাদেশি বোলারদের হতাশ করে ব্যাটিং করতে থাকেন। জুটি গড়েন ৮০ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছেন দিলরুয়ান পেরেরা। ৫০ রান করলেও খেলেছেন ১৭৪ বল। তবে অবশেষে রান আউটের ফাঁদে পড়েন তিনি। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে রান নেওয়ার সময় আউট হন তিনি। এক রান পরেই সাকিব আল হাসানের বলে মোসাদ্দেককে ক্যাচ দিয়ে ৪২ রানে ফেরেন লাকমাল। সাকিব মোট চারটি উইকেট দখল করেন। মোস্তাফিজ তিনটি উইকেট নেন।সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনটি বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল। কেননা এদিন লঙ্কানরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৪ রান তুলতে আট উইকেট হারায়। দিন শেষে মোট ২৬৮ রান করে। যেখানে লিড পায় ১৩৯ রানের। ওপেনার দিমুথ করুনারতেœর সেঞ্চুরিই (১২৬) তাদের রানের চাকা সচল রাখে। দিলরুয়ান পেরেরা (২৬) ও সুরাঙ্গা লাকমাল (১৬) অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। চতুর্থ দিন বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। দু’জনেই তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামাতে সাহায্য করেন। মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।এর আগে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম ইনিংসে দিনেশ চান্দিমালের সেঞ্চুরিতে ৩৩৮ রান করতে সমর্থ হয়। জবাবে টাইগাররা দাপট দেখিয়ে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে। সাকিব আল হাসানের অসাধারণ সেঞ্চুরির সুবাদে ৪৬৭ রান করে হাতুরুসিংহের শিষ্যরা। ম্যাচে পায় ১২৯ রানের লিড।

এদিকে, ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন তামিম ইকবাল। রেকর্ড-পরিসংখ্যানে লেখা থাকবে এটিই। তবে পুরস্কারটি শেষ পর্যন্ত হাতে উঠেছে সাকিব আল হাসানের! নিজের ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি সাকিবকেই দিয়েছেন তামিম।ম্যাচ শেষে টেন ক্রিকেটের সঙ্গে আলোচনায় সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রাসেল আর্নল্ড জানালেন তামিমের এই সৌজন্যবোধের কথা।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয়ে শেষ দিনে ৮২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন তামিম। শেষের লড়াইয়ের জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভুমিকার কারণেই হয়তো ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বেছে নেওয়া হয়েছে তাকে।তবে ম্যাচ জুড়ে লড়াইয়ে বাংলোদেশকে এগিয়ে রেখেছেন সাকিবই। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করেছেন প্রথম ইনিংসে। বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৫ বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিবই। ৩ বার হয়ে তামিম স্পর্শ করলেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ আশরাফুলকে।

এদিকে, শততম টেস্টে স্মরণীয় জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভবিষ্যতেও জয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখবে। এ জয়ের ফলে বাংলাদেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেট অনুরাগীরা আরো উৎসাহিত হবে এবং ক্রিকেটের উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।ক্রিকেট দলের ঐতিহাসিক বিজয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দলের খেলোয়াড়, কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্রিকেট ভক্তদের উষ্ণ অভিনন্দন জানান। শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তাসহ সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কলম্বোতে ব্যাটে-বলে দাপুটে ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ চার উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।ঐতিহাসিক এ জয়ের পরপরই প্রধানমন্ত্রী দলের সবাইকে অভিনন্দন জানান বলে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান।তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং ম্যান অব দ্যা সিরিজ সাকিব আল হাসানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি দলের সদস্যদের জন্য দোয়া করে বলেছেন, তোমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছ, তোমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি।ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে কথা শেষ করেন ‘জয় বাংলা’ বলে। পৃথক এক অভিনন্দন বার্তায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সবচেয়ে কম সময়ে শততম টেস্ট খেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শততম ম্যাচে জয়লাভ ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য বয়ে আনতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

এছাড়া ক্রিকেটের পরাশক্তি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।রোববার কলম্বোর পি সারা ওভালে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ খেলায় শক্তিশালী শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারায় টাইগার বাহিনী। এর পরপরই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে অনুষ্ঠিত টেস্ট ক্রিকেটে (বাংলাদেশে শততম টেস্ট ম্যাচ) বাংলাদেশি টাইগারদের অসাধারণ কৃতিত্বে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

ক্রিকেট ঐতিহ্য কিংবা শক্তি-সামর্থ্যÑসবকিছুতেই বাংলাদেশের চেয়ে যোজন-যোজন মাইল এগিয়ে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু কলম্বোর পি সারায় আজকের জয় শক্তিধর এই দুই দেশের চেয়ে একটা জায়গায় এগিয়ে রাখল বাংলাদেশকে!২০০ রানের নিচে লক্ষ্য দিয়ে এর আগে দেশের মাটিতে দুই বার জিতেছে শ্রীলঙ্কানরা। একবার পাকিস্তানের বিপক্ষে আরেকবার ভারতের বিপক্ষে। কিন্তু ১৯১ রানের লক্ষ্য দিয়ে এবার জিততে পারল না শ্রীলঙ্কা। শততম টেস্টে তামিম-সাকিব-মুশফিকদের জয়ের স্পৃহা জিততে দেয়নি স্বাগতিকদের।

দু শ রানের নিচে লক্ষ্য দিয়ে আগে শ্রীলঙ্কার জেতা দুটি টেস্টেই স্বাগতিকদের জয়ের অন্যতম কুশীলব ছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে গলে চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৬৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ২ উইকেটে ৭১ রান তুলেও পাকিস্তান ম্যাচটি হেরে ৫০ রানে গিয়েছিল ১১৭ রানে অলআউট হয়ে। শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে সফরকারীরা হারিয়েছিল ৪৬ রানে। যার চারটি উইকেটই নিয়ে ছিলেন হেরাথ। এরপর ২০১৫ সালে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে ভারতের বিপক্ষেও জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। গল টেস্টে বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, লোকেশ রাহুল, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মাদের নিয়ে গড়া ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ হেরাথের ঘূর্ণি জাদুতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ৪৮ রানে হেরাথ ৭ উইকেট নিলে ভারত অলআউট ১১২ রানে। শ্রীলঙ্কার জয় ৬৩ রানে।সেই হেরাথই আজ বাংলাদেশের চতুর্থ ইনিংসের শুরুতে ভীতি ছড়িয়ে ছিলেন। অষ্টম ওভারেই পর পর দুই বলে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু হেরাথ-ভীতি কাটিয়েই জিতেছে বাংলাদেশ।

২৬ ডিসেম্বর ২০০৪। নিজেদের শততম ওয়ানডেটা জয় দিয়েই উদ্যাপন করেছিল বাংলাদেশ। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের কাছে ভারত হেরেছিল ১৫ রানে।সেই বাংলাদেশ নিজেদের শততম টেস্টটাকেও রাঙালো জয় দিয়ে। কলম্বো পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শততম টেস্টে জয় পেল বাংলাদেশ।বাংলাদেশের আগে নিজেদের শততম ম্যাচে জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। মজার ব্যাপার, বাংলাদেশের মতো এই তিনটি দলও নিজেদের শততম ওয়ানডেতেও জয় পেয়েছিল। তবে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান আগে জিতেছিল শততম টেস্ট, পরে শততম ওয়ানডে।

মাইলফলক টেস্টের জয় বাংলাদেশকে কী কী উপহার দিল,তা এক নজরে জেনে নেওয়া যাক।১Ñ১৮তম টেস্টে এসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ।৪Ñজিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের পর চতুর্থ দল হিসেবে বাংলাদেশের কাছে হারল শ্রীলঙ্কা। দেশের বাইরে বাংলাদেশের চতুর্থ জয়ও এটা।৯Ñবাংলাদেশের নবম টেস্ট জয় এটি। প্রথম ১০০ টেস্টে বাংলাদেশের চেয়ে কম জয় ছিল শুধু নিউজিল্যান্ডের (৭)।৩Ñরান তাড়া করে তৃতীয়বারের মতো টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে গ্রেনাডা টেস্টে ২১৫ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ও ২০১৪ সালে মিরপুরে ১০১ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে জিম্বাবুয়েকে হারায় বাংলাদেশ। ৮Ñবাংলাদেশের শেষ আটটি টেস্ট জয়েই দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। এই ত্রয়ী ছিলেন না শুধু ২০০৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ে।৮২Ñতামিমের ৮২, রান তাড়ায় বাংলাদেশ জিতেছে, এমন ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৯ সালে গ্রেনাডা টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব।৩০০Ñএই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ৩০০ রানের বেশি করেও হারল কোনো দল।