লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা অপরদিকে শিক্ষিকা কর্তৃক শিক্ষককে চড়থাপ্পড় মারার পালটাপালটি অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুলের লাইব্রেরীতে শামসুল আলম ও তাহেরা বেগম নামের দুই শিক্ষিকের মাঝে মারধোরের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিক্ষকই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসে। শনিবার উপজেলার ভেলাগুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বসার কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।

সোমবার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত টিম গঠন করার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আতিকুর রহমান।ঐ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা তাহেরা বেগম বলেন, শামসুল আলম এখানে যোগদানের পর থেকেই তাকে নানা অশোভন ইঙ্গিত করে আসছে। তার কথা না শুনলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) আপত্তিকর মন্তব্য লিখবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
তবে ঘটনার দিন স্কুলের লাইব্রেরীতে একা পেয়ে শামসুল তার গায়ে হাত দিতে গেলে নিজেকে রক্ষায় বাধ্য হয়ে তিনি তার গায়ে হাত তুলেছেন বলে স্বীকার করেন।

তবে সহাকারি শিক্ষক শামসুল আলমের দাবী, ওইদিন তিনি লাইব্রেরীতে বসে টাকা গুনছিলেন। এমন সময় হঠাৎই তাহেরা বেগম সেখানে ঢুকে এবং তাকে আক্রমন করে বলে- এই তুই বদলী নিচ্ছিস না কেন? এই কথা বলেই তাকে চড় মারা হয় বলে জানায় শামসুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা বেগম বলেন, বিষয়টি এখন আমার হাতে নেই। এটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা হাসান আতিকুর রহমান বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবির বলেন, আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি।