২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস পালনে ভারতের সমর্থন আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে এই সমর্থন পাওয়ার কথা জানান তিনি।হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা।১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতার দিন ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এই চেষ্টায় ভারতই প্রথম দেশ যাদের সহযোগিতার আশ্বাস এল, যে দেশটি একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল। শেখ হাসিনা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অংশীদার।

স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অমূল্য অবদানের কারণে আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।১৯৭১ এ সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমাদের উদ্যোগে ভারতের সহায়তা চেয়েছি আমরা। ভারত আমাদের সহায়তা করতে রাজি হয়েছে।ভারতের নয়াদিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউসে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বাংলায় কথা বলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতার জন্য ভারতবাসীকে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানান। শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। গাঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফলে দুই দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি সব ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সে জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।