মুশফিকের শতকের পরও মোহামেডানের হার

বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৫০তম ম্যাচের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামলেই এই মাইলফলক স্পর্শ করবেন মুশি। এর আগে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও হাবিবুল বাশার। দেশের হয়ে আশরাফুল ৬১টি ও হাবিবুল ৫০টি টেস্ট খেলেছেন।২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারে প্রথম টেস্ট খেলতে নামেন মুশফিক। এরপর গেল ১১ বছরে আরও ৪৮টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ফলে ৫০ ম্যাচের দোঁড়গোড়ায় পৌছে যান মুশি। এমন মাইলফলকের সামনে দাড়িয়ে গর্ববোধ করছেন মুশফিকুর, এমন মাইলফলক গর্বের। আল্লাহ’র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। অবশ্যই চেষ্টা করবো যেন ব্যক্তিগতভাবে ভালো খেলি। দলের জন্য যা যা করা দরকার করবো।

অস্ট্রেলিয়া বাদে বিশ্বের টেস্ট প্লেয়িং সকল দেশের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মুশফিকের। এখন পর্যন্ত ৪৯ টেস্টের ৯০ ইনিংসে ২৭৩৭ রান করেছেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। গড়- ৩২.৫৮। ৩টি সেঞ্চুরির সাথে ১৫টি হাফ-সেঞ্চুরিও রয়েছে তার।উইকেটের পেছনেও বেশ দক্ষ মুশফিকুর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের সেরা উইকেটরক্ষকের তকমাটা পেয়ে গেছেন তিনি। সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলটকে ছাপিয়ে সর্বোচ্চ ডিসমিসালসের মালিক হন মুশফিকুর। ৭৮টি ক্যাচ ও ১১টি স্ট্যাম্পিং-এ সবচেয়ে বেশি ৮৯টি ডিসমিসালস আছে মুশফিকের। পাইলটের ডিসমিসালস ৮৭টি।

এদিকে, চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের সুযোগ হাতের নাগালে পেয়েও, তা হাতছাড়া করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া ঢাকা টেস্টে জয়ের সুযোগ পেলে, এবার আর হাতছাড়া করবেন না বলে হুংকার দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মুশি, আমাদের মূল লক্ষ্য দল হিসেবে ঢাকা টেস্টেও ভালো খেলা। দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে চাই। তারপরও যদি জয়ের সুযোগ পাই তবে অবশ্যই এবার হাতছাড়া করবো না।চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের টার্গেট ২৮৬ রান পেয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ১৪০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেকাদায় পড়ে যায় টাইগাররা। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক মুশফিক ও সাত নম্বরে নামা অভিষেক খেলোয়াড় সাব্বির রহমানের ৮৭ রানের জুটিতে জয়ের পথ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। কিš‘ চতুর্থ দিনের বিকেলে হঠাৎ-ই ৩ উইকেট ও পঞ্চম দিনের সকালে অদ্ভুত ডিআরএস-এর ফাঁেদ পড়ে শেষ দু’উইকেট হারিয়ে ২২ রানে ম্যাচ হারের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। তাই জয়ের সুযোগটা হাতছাড়াই হয় টাইগারদের।

তবে ঢাকা টেস্টে জয়ের সুযোগ পেলে এবার আর হাতছাড়া করবেন না বলে হুংকার দিয়ে দিলেন মুশফিকুর। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য দল হিসেবে ঢাকা টেস্টেও ভালো খেলা। দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে চাই। এবারও জয়ের সুযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা করবো আমরা। তারপরও যদি জয়ের সুযোগ পাই তবে অবশ্যই এবার হাতছাড়া করবো না।চট্টগ্রামের স্মৃতি এখনো মুশফিকের মনে টাটকা । কারন চট্টগ্রাম টেস্টের পারফরমেন্সে বিশ্ব মঞ্চ থেকে বাহ-বা কুড়িয়েছে তার দল। তাই চট্টগ্রাম টেস্টের ইতিবাচক দিকগুলো দিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো খেলার কথাই জানালেন মুশি, ‘চট্টগ্রামে এভাবে হারাটা আক্ষেপের। সেই জেদ সবার মনেই আছে। যদি আমরা আরও একটু ভালো খেলতে পারতাম তবে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু আমরা পারিনি। আশা করছি ঢাকা টেস্টে ভালো পারফরমেন্স করতে পারবো।ঢাকা টেস্টের উইকেটও স্পিন সহায়ক হচ্ছে। তাই চট্টগ্রামের মত এই উইকেট থেকেও স্পিনাররা সুবিধা নিবে বলে প্রত্যাশা করেন মুশফিকুর। পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরা ভালো ইনিংস খেলবে এমন আশা মুশির, মিরপুরের উইকেট ভিন্ন হবে। কারন এখানকার মাটি ভিন্ন। তবে নিজেদের মাটিতে খেলার সুবিধা যেন আমাদের স্পিনাররা নিতে পারে এমনটাই আশা করছি। পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরাও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারলে ইতিবাচক ফলাফল আসবে।