52f23717cf485-TrishalPময়মনসিংহের ত্রিশালে দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকার এবং ত্রিশাল পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ বি এম আনিসুজ্জামানের সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত উপজেলার ১৬টি স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সিডিউল জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল। সকাল ১০টা থেকেই আবদুল মতিন সরকারের সমর্থকেরা উপজেলা পরিষদের ফটকে অবস্থান নেন। এ সময় আনিসুজ্জামান পক্ষের ইসলাম ডিলার নামের একজন ঠিকাদার টেন্ডার বাক্সে দরপত্র জমা দিতে চাইলে আবদুল মতিন সরকারের লোকজন তাঁকে বাধা দেন এবং টেনেহিঁচড়ে বের করে দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে উভয় পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা পরিষদের ভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ভবনের ভেতরে অবস্থান নেয়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম  আহ্বায়ক জিয়াউল হক উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী এনায়েত কবীর জানান, দরপত্র জমা দিতে কেউ বাধা দেয়নি। পরিষদের ফটকে পুলিশের তালা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালা খুলে দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসির উদ্দিন জানান, শেষ পর্যন্ত ৭২টি টেন্ডার জমা পড়েছে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, নিরাপত্তার কারণে উপজেলা পরিষদের ফটকে তালা লাগানো হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর গেট খুলে দেওয়া হয়।