1391840502.বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভকালে গতকাল আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন সরকারী ভবনগুলোতে। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চলা ভয়াবহ সেই যুদ্ধের পর বলা যায় এই প্রথম এমন সহিংস ঘটনা ঘটলো। বিরাজমান চরম বেকারত্ব এবং রাজনীতিকরা এ অবস্থার পরিবর্তন সাধনে কোনো ভূমিকা রাখতে না পারার কারণে তিনদিনব্যাপী চলা উত্তাল এ বিক্ষোভে কয়েকশ’ মানুষ আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী সারায়েভো এবং উত্তরাঞ্চলের টুযলা শহরের বিক্ষোভকারীদের দমাতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। রাজধানীতে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। সারায়েভোর সংবাদপত্র ডিনেভনি আভায-এর বরাত দিয়ে জানা গেছে, ভবনের দিকে পাথর নিক্ষেপরত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা ভবনের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পত্রিকাটির খবরে। অগ্নি নির্বাপক দলের কর্মীরা জ্বলন্ত ভবনের কাছে পৌঁছতে ব্যর্থ হন। ১৩টি অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর সদস্য এ কাজে নিয়োজিত হন।বৃহস্পতিবার তুযলায় বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যেকার সংঘর্ষে ১৩০ জনেরও বেশি আহত হন, এদের বেশিরভাগই পুলিশ কর্মকর্তা। নির্মাণ শ্রমিক নিহাদ কারাক বিদেশী এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘জনগণের চাকরি নেই, তারা ক্ষুধার্ত, তাই তারা বিক্ষোভ করছে।’ উল্লেখ্য, বসনিয়ার শতকরা প্রায় ৪০% মানুষই বেকার।তুযলার কিছু কারখানা বন্ধ করে দিয়ে বিক্রি করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করার সূত্র ধরে এ সপ্তাহের  গোড়ার দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়। কারখানাগুলোর বেশিরভাগ কর্মীই স্থানীয়।