mannanদূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে নিজ নির্বাচনী এলাকা দোহার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি মান্নান খানের দাপটে গেল ৫ বছর সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন দলের নেতাকর্মীরা। তবে এ ব্যাপারে কোন মšত্মব্য করতে রাজি হন নি সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
দোহারবাসীর অভিযোগ ২০০৮ সালে সাংসদ নির্বাচিত ও মহাজোট সরকারের মন্ত্রী হবার পর এলাকার রাজনীতিতে অবৈধ প্রভাব বি¯ত্মার শুরু করেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। পিছিয়ে থাকেন নি মান্নান খানের সহযোগিরাও। ফলে অসহায় হয়ে পড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ সমর্থক বলেন, মান্নান খান যা করেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমার স্বামী আওয়ামী লীগ করে, আমিও আওয়ামী লীগ করি। অথচ মান্নান খান আমার স্বামী সেন্টুর উপর যে অত্যাচার করেছে তা বলার মতো নয়। তিনি বলেন, মান্নান খান তো আওয়ামী লীগ করেন নি। তিনি করেছেন কমিউনিষ্ট পার্টি। অপর এক আওয়ামী লীগ সমর্থক বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্দিনে যারা কাজ করেছে তাদের উপর অত্যাচার করায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীই ১০ম সংসদ নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদেরকেই দলীয় কর্মকা- চালাতে দেন নি মান্নান খান। তৃণমূল নেতাদের নাম সর্বস্ব পদ পদবী থাকলেও এলাকায় পুরোপুরি রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে মান্নান খানের পরিবার।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, স্বাধীনভাবে সাংগঠনিক কোন কর্মকা- করতে পারে নি দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মান্নান খান ঢাকা, দোহার, নবানগঞ্জ আওয়ামী লীগকে তিনি তার পরিবারের মধ্যে বন্দি করে রেখেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, মান্নান খান প্রভাবশালী মন্ত্রী হওয়ার পর এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে তার কোন ভালো সম্পর্ক ছিল না। তিনি কিভাবে সম্পদের পাহাড় বানিয়েছেন তা দুদকই খতিয়ে দেখবে।
এসব দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির কারণে দিনে দিনে তার বিপক্ষে চলে যায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় বিএনপি ছাড়াই অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি। বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, বাসের লাইন, হাটের লাইন, ঘাটের লাইন সবকিছুতেই হ¯ত্মক্ষেপ এবং চাঁদাবাজী, ঠিকাদারী থেকে শুরু করে এমন কোন কাজ নেই যে মান্নান খান করেন নি। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে কোন মšত্মব্য করতে রাজি হন নি মান্নান খান। মহাজোট সরকারের প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানের অবৈধ সম্পদ সুষ্ঠু তদšেত্মর মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহবান এলাকাবাসীর।