bd}balঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় থানা ও ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের জন্য কাউন্সিলের তারিখ নিয়ে হট্টগোল হয়েছে। এ সময় চিত্কার-চেঁচামেচি ও নেতারা বাগবিতণ্ডয়ায় জড়িয়ে পড়েন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বর্ধিত সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক মকবুল হোসেন পল্লবী থানার কাউন্সিলে তারিখ ঘোষণা করতে গেলে হট্টগোল শুরু হয়। তাঁর বক্তব্যের সময় সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন নেতা চিত্কার করে বলেন, হুটহাট করে সম্মেলন দেওয়া যাবে না। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, মকবুল কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণের কে?
এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপিং চলবে না। নেতা হওয়ার আগে বিবেচনা করবেন তাঁর যোগ্যতা আছে কি না। তিনি হট্টগোলকারীদের শান্ত হতে বলেন। তখন পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে হবে। এ জন্য ২৮ তারিখের মধ্যেই কমিটি গঠন করতে হবে, এর পরে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, যেসব থানা কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে না মহানগরের পক্ষ থেকে তাদের তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে পল্লবী-রূপনগরে ১১ ফেব্রুয়ারি, কাফরুলে ১৫ ফেব্রুয়ারি, রমনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি, শাজাহানপুর থানা ও ৭২, ৭৩, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ ফেব্রুয়ারি, ডেমরা থানায় ২৩ ফেব্রুয়ারি, কোতোয়ালি থানায় ২৪ ফেব্রুয়ারি, মোহাম্মদপুর থানায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর থানায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারিত হয়।