TERORISনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গত ২৯ জানুয়ারি ও শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে নুরুজ্জামান নুরা ও ইদু শেখ নামে দুই সন্ত্রাসী নিখোঁজ রয়েছে। এ নিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিখোঁজ হওয়া সন্ত্রাসী ইদু শেখ (৪২) ফতুল্লার ভূঁইগর এলাকার জিন্নত শেখের ছেলে এবং নুরুজ্জামান নূরা (৩৫) ফতুল্লার হরিহরপাড়া আমতলা এলাকার মৃত সামসুদ্দিন সর্দারের ছেলে। নিখোঁজদের পরিবারের দাবি আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, এ ধরনের ঘটনা তাদের জানা নেই। এদিকে দুই সন্ত্রাসী নিখোঁজ হওয়ায় ফতুল্লার অন্যান্য সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নিখোঁজ হওয়া ইদু শেখের স্ত্রী পপি বেগম জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তাঁর স্বামী ইদু শেখ একটি চায়ের দোকানে বসে লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় একটি নোয়া গাড়িযোগে যার নম্বর (ঢাকা মেট্রো-ট-১১-১০৪৫) ১০-১২ জন লোক ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, তাঁর স্বামি যদি কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে আইনের মাধ্যমে বিচার করা যেতে পারে। ইদু শেখ নিখোঁজ পাওয়ার পর থেকে তার পরিবারের সদ্যস্যরা আতঙ্কে দিনযাপন করছে বলেও তিনি জানান।
অন্যদিকে নুরুজ্জামান নূরার বড় ভাই ইব্রাহিম সুনু জানান, গত ২৯ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফতুল্লার শাসনগাঁও প্রেমরোড এলাকা থেকে নুরুজ্জমান নুরাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি  করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। এখনো তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মাহাবুব জানান, ইদু শেখ এবং নুরুজ্জামান নুরা নামের কাউকে তারা গ্রেপ্তার করেননি। তা ছাড়া এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই ডিবি পুলিশের।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, বিষয়টি নিখোঁজ হওয়া পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন। এ ঘটনায় নুরার পরিবারের লোকজন ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন বলেও তিনি জানান।
ওসি আরো জানান, নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিরা ফতুল্লা মডেল থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, হত্যা, ডাকাতি, রাহাজানি, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশের হাতে তারা একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে।