যুবলীগের নেতা রিয়াজুল হক খান ওরফে মিল্কি হত্যা মামলায় আসামি ফাহিমা ইসলাম লোপার ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
ফাহিমা রিয়াজুলের কথিত সহযোগী ব্যবসায়ী মারুফ রেজা ওরফে সাগরের স্ত্রী। এ হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে গত ৩ আগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার অন্যতম আসামি তারেককে রিয়াজুলের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন ফাহিমা। আর এ তথ্যের ভিত্তিতে রিয়াজুলকে তারেক ও তাঁর সহযোগীরা গুলি করে হত্যা করেন বলে জানায় র‌্যাব।
আজ আদালতে ফাহিমার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। তিনি জানান, হাইকোর্টের এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করা হবে।
গত বছরের ২৯ জুলাই মধ্যরাতে গুলশান ১ নম্বরে একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুলকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিপণিবিতানের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এ খুনের দৃশ্য ধরা পড়ে। রাতেই উত্তরার একটি ক্লিনিক থেকে চিকিত্সাধীন অবস্থায় যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ৩১ জুলাই রাতে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন তারেকসহ দুজন।
নিহত রিয়াজুলের ভাই মেজর রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে তারেকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে গুলশান থানায় মামলা করেন। এর এক দিন পর এই খুনের মামলা তদন্তে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) দায়িত্ব দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ও যুবলীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম আরিফের নির্দেশে যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত  হোসেন চঞ্চলসহ কয়েকজন সহযোগী রিয়াজুলকে হত্যা করেন।