10438_ffপটুয়াখালী-২ আসনের সাংসদ আ স ম ফিরোজ কোন কর্তৃত্ববলে পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গনি সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।
আওয়ামী লীগের সাংসদ আ স ম ফিরোজের পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহে বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক রিট আবেদনটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিক-উল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান খান ও এম মনিরুল ইসলাম।
পরে সিদ্দিকুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানান, পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেডের পরিচালক আ স ম ফিরোজ। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ ২০০৯ সাল থেকে খেলাপি হিসেবে আছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (১) (এম) অনুসারে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে খেলাপি ঋণের তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে হয়। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পর ২৭ নভেম্বর তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে এবং ঋণপুনর্বিন্যাস করা হয়। নির্ধারিত সময়ে তিনি ঋণ পরিশোধ করেননি। এতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। এ কারণে রিটটি করা হয়। আ স ম ফিরোজ, নির্বাচন কমিশন সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইনসচিব, সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ নয় বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।