untitled-2_43074.gif
ইসলামি বিপ্লবের ৩৫ বছর: তেহরানের রাস্তায় হাজারো জনতা

ইরানে ইসলামী বিপ্লবের ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তেহরানের রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। তারা র‌্যালি নিয়ে উৎসবে মেতে উঠেছে। ৩৫ বছর আগে এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রপন্থী শাসনকর্তা রেজা শাহ পেহলভীর পতনের মধ্য দিয়ে ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

আজ মঙ্গলবার তেহরানের সেন্ট্রাল আজাদি স্কায়ারে হাজার হাজার মানুষ এসে সমবেত হয়। ইরানের বর্তমান রাষ্ট্রপতি হাসান রৌহানি আগতদের সামনে ইসলামি বিপ্লব পূর্ববর্তী ইরান ও বিপ্লবের তাৎপর্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। গত বছরের আগস্ট মাসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি এমন জনসমাবেশে বক্তব্য রাখলেন।

বক্তব্যে হাসান রৌহানি বলেন, প্রাকবিপ্লব যুগে দেশ পরিচালনায় জনগণের মতামতের, ভোটের কোনও গুরুত্ব ছিল না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছিল এবং রাজতন্ত্র একধরনের নিয়মতন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ইরানের জনগণ দেশ সম্পর্কে তাদের ভাবনার প্রতিফলন দেখতে চাইতেন, কিন্তু একটি বৃহৎ শক্তি সবসময় দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে যেতো।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সরাসরি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমেরিকার ধারণা ছিল, ইরান তাদেরই অধিভুক্ত। তারা প্রত্যেকটি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইতো, এমনকি দেশের প্রতিরক্ষার মত সংবেদনশীল ইস্যুতেও।

বিপ্লবের সূচনা ঘটে প্রথম ১৯৭৯ সালে। ১০ মাস সারাদেশ অবরূদ্ধ হয়ে থাককার পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রবান্ধব শাহ-এর পতন ঘটে। বিপ্লবী ছাত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তছনছ করে দিয়েছিলেন এবং ৫২ জন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে আটক করে রেখেছিলেন যাদের প্রায় দেড় বছর পর (৪৪৪ দিন) মুক্তি দেয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

বিপ্লবের ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইরানীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা গণমাধ্যমের কাছে তাদের বর্তমান মনোভাব ব্যক্ত করেন। তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র আর ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি। তাদের মনে এখনও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব প্রবলভাবে কাজ করে।

আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনীর নেতৃত্বে দশ মাসব্যাপী স্থায়ী সে সফল বিপ্লবে ২ হাজার ৭৮১ জন নিহত হয়েছিলেন বলে নথিভুক্ত আছে।