clinton-hillary-monica_43052.png
বান্ধবীর কাছে মনিকা সম্পর্কে যা বলেছিলেন হিলারি

 

১৯৯৮ সালে ওভাল অফিসে ক্লিনটন-মনিকার যৌন সম্পর্কের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। মনিকার দাবি ছিল- প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সঙ্গে তার নয়বার যৌন সংসর্গ হয়। মনিকার দাবি অস্বীকার করেছিলেন ক্লিনটন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মনিকার গাউনে মিলল প্রেসিডেন্টের ডিএনএ। ফলে অভিসংশনের মুখে পড়তে হয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। তবে এ ঘটনায় মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি কষ্ট পেলেও মোটেও বিচলিত ছিলেন না। উল্টো পাশে দাড়িয়েছিলেন বিলের। কিন্তু কেন? ১৬ বছর পর হিলারির বান্ধবীর রেখে যাওয়া পুরনো কাগজ-পত্র ঘেটে মিলেছে নতুন তথ্য।  তার কাছে সাবেক ফার্স্ট লেডি খুলে বলেছিলেন মনের সব কথা।

হিলারির ভাষায়, ‘সত্যিকারের শারীরিক সম্পর্ক বলতে যা বোঝায় বিলের সঙ্গে মনিকার তা কখনোই হয়নি। আর হোয়াইট হাউজের সাবেক শিক্ষানবিশ মনিকা আসলে কার্টুন চরিত্র ‌’লুনি টুন’, যে কিনা আত্মরতিতে মগ্ন।

১৯৯৮ সালে ক্লিনটন-মনিকা কেলেঙ্কারি যখন বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করছে তখন নিজের পরমর্শদাতা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডায়ান ব্লেয়ারের কাছে এভাবেই মনের কথাগুলো তুলে ধরেছিলেন হিলারি। ব্লেয়ারকে এক সময় নিজের ঘনিষ্ট বন্ধবী হিসাবেও উল্লেখ করেছিলেন হিলারি। ২০০০ সালে তার মৃত্যুর পর তার ব্যক্তিগত বেশ কিছু চিঠি ও ডায়রি আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে দেন ডায়ানের স্বামী। সেইসব নথিপত্র থেকেই সম্প্রতি হিলারির সেইসব মন্তব্য তুলে এনেছে ‘ওয়াশিংটন ফ্রি বিকন’ নামে একটি ওয়েবসাইট। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে মনিকা-ক্লিনটন সম্পর্ক।

মনিকার দাবি ছিল, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সঙ্গে ওভাল অফিসে তার নয়বার যৌন সংসর্গ হয়। তার ওই দাবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে হিলারিকে সঙ্গে নিয়েই এক সংবাদ সম্মেলনে মনিকার সঙ্গে সম্পর্কের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন ক্লিনটন। কিন্তু সেই প্রেমের নমুনা হিসাবে মনিকা তার একটি নীল গাউন হাজির করলে ফেঁসে যান প্রেসিডেন্ট। ক্লিনটনের ডিএনএও পাওয়া যায় সেই গাউনে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রকাশ্যে মিথ্যা বলার অভিযোগে সিনেটে অভিশংশনের মুখে পড়েন ক্লিনটন।

ঘটনাপ্রবাহের এই আকষ্মিকতায় ভাঙা মন নিয়েও ক্লিনটনের পক্ষে কথা বলে গেছেন হিলারি। ক্লিনটনের সেই সম্পর্কের জন্য তিনি মনিকাকে দায়ী করেছেন কিন্তু দোষ দেননি স্বামীকে। দুঃখ করে বলেছেন, নিজে ক্লিনটনকে আরো বেশি সময় দিতে পারেননি বলেই এটা হয়েছে।

ডায়ান লিখেছেন, “হিলারি জানতেন এটা নৈতিক স্খলন। পরিষ্কার একজন ‘নার্সিসিসটিক লুনি টুন’কে ক্লিনটন সামলাতেও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিষয়টা আয়ত্বের বাইরে চলে যায়।”

ডায়ানের কাছে হিলারি নিজেকে তুলে ধরেছেন একজন ‘জটিল মনস্তত্বের’ মানুষ হিসেবে। বলেছেন, ”আমি একজন গর্বিত নারী। আমি বোকা নই, আমি জানি, প্রেসকে সামলাতে আমার  আরো কাজ করতে হবে। আমি জানি, আমি চুল বাঁধার ধরণ বদলালে লোকজন বিভ্রান্ত হয়। আমি জানি, আমার এমন ভাব নেয়া উচিৎ যে নিজের কোনো মতামতই নেই… কিন্তু আমি তা করছি না।”