inu2সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যারহস্য দুই বছরেও উদঘাটিত না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রশাসনিক ব্যর্থতায় নিজের লজ্জার কথা বললেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় খুন হন সাগর-রুনি, যে হত্যাকাণ্ডের জট খোলেনি দুই বছরেও। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাগর-রুনির হত্যা রহস্য উদঘাটিত না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য লজ্জাবোধ করছি। মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেব, তদবির করব যেন প্রকৃত ঘটনা দেশবাসী জানতে পারে।মন্ত্রী বলেন, সাগর-রুনির হত্যার রহস্য দুই বছরেও উদঘাটন না হওয়া ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’, এটা কাটিয়ে উঠতে হবে। হত্যারহস্য উদঘাটন হওয়া উচিৎ। ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই মন্তব্য করে ইনু বলেন, রহস্য উদঘাটনে সরকার আন্তরিক। তবে প্রশাসন সফল হয়নি, এজন্য তিনি লজ্জিত। আমি কথা বলেছি (সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে)। আরো কথা বলব। আমি চেষ্টা করব পুলিশ একটা রিপোর্ট দিক, একটা যথাযথ বিপোর্ট দিক।মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর চারদিন পর এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার দাবি করেন, তদন্তে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি দেশবাসীকে ‘ইতিবাচক’ খবর দেয়ারও আশাও দিয়েছিলেন তিনি।তারও দুদিন পর ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের সন্দেহের তালিকায় কয়েক পেশার লোক রয়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হলেই গ্রেপ্তার হবে খুনি। কিন্তু তদন্ত শুরুর দুই মাসের মাথায় আদালতে ব্যর্থতা স্বীকার করতে হয় গোয়েন্দা পুলিশকে। হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব বর্তায় র‌্যাবের ওপর।

২০১৩ সালের অক্টোবরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আটজনকে চিহ্নিত করে সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এরপর র‌্যাবের পক্ষ থেকে কয়েকজন ডিএনএ যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে পরীক্ষারও ব্যবস্থা হয়। কিন্তু ওই হত্যাকাণ্ডের কোনো কিনারাই করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।