‘নিজে সিকিউরিটির কাম কইরাও মেয়েটার সিকিউরিটি দিতে পারলাম না। আমার এতো সুন্দর মাইয়াডা মইরা গেল।’

kodomtoli-thana
অপমান সইতে না পেরে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

মঙ্গলবার তার মেয়ে আতকিয়া গালিব তাপ্তি কদমতলীর ৩৫/২ নম্বর বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ‘আত্মহত্যা’ করেন।

তাপ্তি ছিলেন ধনিয়া হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা মনিরুল আলম তপন পেশায় ট্রেডিং ব্যবসায়ী।

দুই বোনের মধ্যে তাপ্তি ছিল বড়, ছোটবোনের বয়স দুই, নাম তপমিতা।

শাহনাজ  অভিযোগ করেন, দুই বছর আগে মেহেদী হাসান নামে এক ছেলের সঙ্গে তার মেয়ের সম্পর্ক হয়। তখন তারা মেহেদীদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

“ছয় মাস আগে মেহেদী শাহনাজকে কথাও দিয়েছিল তাপ্তিকে বিয়ে করে সংসার সাজাবে। তবে গত দুই মাস আগে আমরা জানতে পারি পরিবারের পছন্দের আরেক মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছে মেহেদী।”

“তাপ্তি যেন দূরে সরে যায় এজন্য মেহেদী তাদের অনেক ছবি, ভিডিও তার বন্ধুদের দেখায়।”

তিনি জানান, এরপর থেকে তার মেয়ে কোন কাজে বের হলে মেহেদীর পরিচিতরা তাকে নানা ধরনের মন্তব্য করতো। এ কারণে তাপ্তির ঘর থেকে বের হওয়া এক প্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এসব সইতে না পেরেই তাপ্তি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান শাহনাজ।

তাপ্তির বাবা মনিরুল আলম তপন বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করে মেহেদী তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমরা বিচার চাই।”

এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে কদমতলী থানায় মেহেদী হাসান, তার বাবা নুরুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন শাহনাজ আক্তার।

কদমতলী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখনো পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।  প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রেমঘটিত জটিলতায় মেয়েটি আত্নহত্যা করেছে।