TOfael_articleআমেরিকার স্থগিতকৃত জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা ফিরে পাওয়া নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে আশংকার কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সব শর্ত পূরণের পরেও রাজনৈতিক ইস্যু টেনে আনা হলে আমরা শর্ত পূরণ করতে পারবো না। জিএসপি সুবিধা বন্ধের আগে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিদেশী পত্রিকায় নিবন্ধ লেখা হয়েছিল। তবে জিএসপির সব শর্ত আমরা পূরণ করতে পারবো।
মঙ্গলবার রাতে মার্কিন সিনেট অধিবেশনে জিএসপি এবং বাংলাদেশেল নির্বাচন প্রসঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমেরিকার একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে। সেটাই তারা বলেছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আমরা জানাবো। তাদের বেধে দেয়া সব শর্ত আমরা পূরণ করবো।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,  জিএসপি সুবিধা ফিরে পেদে প্রায় সব শর্তই পূরণ করা হয়েছে। তবে তিনটি শর্ত বাকি রয়েছে। এগুলো আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে পূরণ করা সম্ভব হবে। এই শর্তের মধ্যে গার্মেন্ট শিল্প পরিদর্শনে দুইশত ইন্সপেক্টর বা পরিদর্শক নিয়োগের বিষয়টি। ৩০ মার্চের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
শতের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯টি পোশাক কারখানায় শ্রমিক নির্যাতনের যে বিষয়টি বলা হয়েছে এটা তদন্তে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয়ে ১৯টি পোশাক কারখানার মালিকদের আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাকা হয়েছে। এর পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, তৃতীয় শর্ত শ্রম আইন অনুযায়ী, ইপিজেড এ ট্রেড ইউনিয়ন করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আগে এটা আইনে ছিল না। সে কারণে আইনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইপিজেড আইন এবং শ্রম আইনের মধ্যে সামঞ্জস্য আনা হবে ৩০ মার্চের মধ্যে।