387238_271143762920796_155950571106783_695425_80901496_n_43195
মধ্যরাতে অনন্যার বাসায় রুমির মা, কাল শুনানি

আগামীকাল ফের খুলতে যাচ্ছে রুমি-অনন্যার দাম্পত্য কলহের ফাইল। সময়ের অন্যতম সমালোচিত ও বিতর্কিত সঙ্গীতশিল্পী রুমিকে কালও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দাখিল হয়েছে চার্জশিট।এর আগে ১৯ জানুয়ারি শুনানি হয় এ মামলার। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে আর কোনও ইতিবাচক সাড়া পায়নি অনন্যার পরিবার। তবে গত সোমবার দিবাগত রাত ১টায় অনন্যার মায়ের বাসায় উপস্থিত হন রুমির মা। সঙ্গে নিয়ে আসেন রান্না করা কিছু খাবার এবং নাতির (আরিয়ান) জন্য কিছু চিপস।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভূগছে রুমি-অনন্যার সন্তান আরিয়ান। অসুস্থ অবস্থায় বাবার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা পোষণ করলে রুমিদের বাসায় যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু রুমি ছেলের সঙ্গে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় দাদীকে (অনন্যার শাশুড়ি) বিস্তারিত জানানো হয়। অনেকটা অনন্যার মায়ের অনুরোধেই  নাতিকে দেখতে আসেন রুমির মা। অনন্যার মাও আরিয়ানের দাদীকে সাদরে গ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে আগামীকালের শুনানি সম্পর্কে জানতে চাইলে রুমির মা জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এসব ব্যাপারে তার ছেলে এবং উকিলই সজাগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনন্যা বলেন, আমার শাশুড়ি এসেছিলেন ঠিকই তবে মামলার জন্য নয়, নাতিকে দেখতে। মামলার বিষয়ে তিনি কোনও কথা বলেননি। অথচ আমার শাশুড়ি কিন্তু মামলার আদিঅন্ত সবই জানেন। তিনিও বেশ কয়েকবার রুমির সঙ্গে আদালতে গিয়েছেন।

আগামীকাল কী পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে অনন্যা আরও বলেন, আমি আগের সিদ্ধান্তে অটল। সন্তানের ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোনও ছাড় দিতে রাজি নই। রুমির অন্তত ভেবে দেখা উচিত যে, আমাদের মধ্যে যে আপোসনামা হয়েছে তার পুরোটাই আরিয়ানের মঙ্গলের জন্য। কারণ ভরণপোষণ ছাড়া সন্তানের বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হবে। আর আরিয়ান তো তারও সন্তান।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রুমির মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এর আগে যে কয়েকবার তার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে ততবারই রুমি জানিয়েছেন, এটা নিয়ে তার মাথা ঘামানোর সময় নাই। যা করার উকিলই করবে। তিনি এখন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কাজই এখন তার ধ্যান-জ্ঞান।

এদিকে, ২৪ ডিসেম্বরের পর এ দম্পতির শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রত্যাশা রেখেছিলেন এবার হয়তো বরফ গলতে শুরু করেছে। কারণ ওই সময় আদালতে দুই পক্ষকেই কিছুটা নরম হতে দেখা গেছে। এরপর অনেকেই তাদেরকে ফোনে বুঝিয়েছেন। কিন্তু যতটুকু প্রত্যাশা নিয়ে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে ঠিক ততটুকু হতাশা নিয়েই ব্যর্থ হতে হয়েছে। একে অন্যের বিপক্ষে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন রুমি-অনন্যা। দোষারোপ দিতে থাকে একে অন্যকে।

অন্যদিকে, রুমি-অনন্যার এ দাম্পত্য কলহের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রুমির শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তকূল। তাদের প্রত্যাশা এ দম্পতি যেন শীঘ্রই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেন। কারণ তারাও চান না রুমির মতো একজন উদীয়মান শিল্পীকে নিয়ে সঙ্গীত পাড়ায় কোনো রকম তর্ক-বিতর্ক হোক।

উল্লেখ্য, রুমি ও অনন্যার মধ্যে একটি আপোসনামা হয়। এতে লেখা ছিল, সন্তান আরিয়ানের ভরণপোষণের জন্য রুমি অনন্যাকে ২০ লাখ টাকা প্রদান করবে, যা ব্যাংকে ডিপোজিট  করে রাখা হবে। এ ছাড়া অনন্যার সঙ্গে সে আর খারাপ ব্যবহার করবে না। অধিকার দিবে স্ত্রীর প্রকৃতি মর্যাদার।