11028_sinate
‘মার্কিন সিনেটের বক্তব্যের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটিতে বাংলাদেশ নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলেছেন, মার্কিন সিনেটের বক্তব্য দেশটির পররাষ্ট্র নীতিরই প্রতিফলন। যদিও তা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন  কোন অবস্থান নয়। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থানে আশ্চার্যের কিছু নেই। বরং এটাই স্বাভাবিক। তারা তাদের আগের অবস্থানই পূর্ণব্যক্ত করেছে। তিনি বলেন, কোন সরকারের দেশ শাসনের জন্য জনগনের ম্যান্ডেট প্রয়োজন। কিন্তু এখানে জনগনের ম্যান্ডেটের অভাব রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আরও বেশি সংকট আসতে পারে। যে কারণে তারা সংলাপ এবং অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন চাচ্ছে। নিজেদের স্বার্থেই তারা তা চাচ্ছে।
মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ আলোচনায় বাংলাদেশের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বলা হয়, এ নির্বাচনে জনগনের মতের প্রতিফলন ঘটেনি। দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনেরও আহবান জানানো হয়। এরআগে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং বৃটেনের হাউস অব কমন্সেও বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে হাউস অব কমন্সে কয়েক দফায় বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়।