35779205
মেঘনা দখলমুক্ত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদী দখলে ব্যবহৃত সকল নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ ও তৈরি করা স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে নদী দখল করে জেটি নির্মাণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছে আদালত। বিবাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি, এসপি, আশুগঞ্জ থানার ওসি ও বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরি ও বিচারপতি হাবিবুল গণির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী সাত দিনের মধ্যে সকল নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ ও স্থাপনা ভেঙে ফেলতে এবং নদী দখলমুক্ত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং যাতে কেউ মাটি ভরাট করতে না পারে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি, এসপি, আশুগঞ্জ থানার ওসি ও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কি কি পদেক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সে রিপোর্টও আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ।
আশুগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ মেঘনা নদীর জায়গা দখল করে জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে জেটি নির্মাণের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমের সংবাদ সংযুক্ত করে রিটটি দায়ের করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী ও এখলাস উদ্দিন ভূইয়া।