vacina_43516
বেলজিয়ামে মরণাপন্ন শিশুদের স্বেচ্ছামৃত্যু আইন পাস

এখন থেকে কম কষ্টে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুরা। ডাক্তাররা তার ইচ্ছা বাস্তবায়ন করবে। সম্প্রতি বেলজিয়ামে এমনই এক আইন পাস করেছে সংসদ।

আইনে বলা হয়েছে, যারা অসহনীয় যন্ত্রনায় ভুগছে কিন্তু তাদের শারীরিক যাতনা কমানোর মত আর কোনো ডাক্তারি প্রচেষ্টা বাকি নেই, তারা এ আইনের সুবিধা ভোগ করতে পারবে। তবে আইনটি ব্যাপক সমালোচনার খোরাকও জুড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।

বেলজিয়ামে আগে থেকেই মার্সি কিলিং বা যন্ত্রণামুক্তির জন্য স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমোদন দিয়ে একটি আইন ছিল, তবে তা ছিল শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। বড়দের মতো শিশুরাও কেন এই সুযোগটি নিতে পারবে না এই নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে বিতর্ক চলছিল বেলজিয়ামে। দেশটির সংসদে  বৃহস্পতিবার ভোটাভুটির মাধ্যমে ৮৬ ভোট পেয়ে এই আইনটি পাস হয়। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৪৪টি এবং ১২ জন ভোটদানে বিরত থাকেন। আইনটি পাস হওয়ার ফলে এখন থেকে যেকোনো বয়সের অসুস্থ শিশুই নিজের মৃত্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

অসুস্থ মৃত্যুপথযাত্রী শিশুরা যদি কম কষ্টে মরে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই সব শিশুদের বাবা-মা বা অভিভাবকেরাও যদি এতে সম্মতি দেয় তাহলে বেলজিয়ামের ডাক্তাররা এখন থেকে শিশুদেরকে কম কষ্টে মৃত্যুবরণের ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবে। ফলে এখন বেলজিয়াম হলো প্রথম সেই দেশ যেখানে যেকোনো বয়সী রোগী যারা দুরারোগ্য রোগে যন্ত্রণা পাচ্ছে , তারা স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমোদন পাবে।

আইনটি পাস হওয়ার পর সংসদের গ্যালারি থেকে একজন দর্শক আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্য ‘খুনী’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। আইনটির বিরোধিতা করেছে ব্রাসেলসের আর্চবিশপ এবং দেশটির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল।

বেলজিয়ামের এন্টেরপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এথিকস এর প্রধান বলছেন, অনেক ডাক্তারের পক্ষেই প্রাণ নেয়ার কাজটা সহজ হবে না।

বেলজিয়ামে অনেক ডাক্তার রয়েছে যারা মনে করেন এই কাজটি করা তাদের জন্য অতীব কঠিন হবে। কেননা, কোন ডাক্তারই ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষের জীবনকে সমাপ্ত করে দিতে প্রশিক্ষিত নয়।

দেশটিতে বয়স্ক মানুষদের জন্য কম কষ্টে মৃত্যুবরণের আইন চালু রয়েছে গত ১২ বছর ধরে। সূত্র: বিবিসি